পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এবং আনুষঙ্গিক সহায়তায় (লজিস্টিক সাপোর্ট) একটি স্বতন্ত্র ‘নির্বাচন সেল’ খুলেছে সরকার। ঢাকার সেগুনবাগিচায় স্থাপিত ওই সেলের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) রাষ্ট্রদূত গাউসুল আজম সরকারকে। সেখানে দু’জন সহকারী সচিবকেও নিযুক্ত করা হয়েছে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় সেখানে পর্যাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হকের দীর্ঘ বৈঠকের পর ওই সেল গঠনের নির্দেশনা আসে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ সেলটি গঠন করে, যার অস্থায়ী কার্যালয় হবে পররাষ্ট্র ভবনের সভাক্ষক।
সেলের কাজ কী হবে? জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কিংবা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগে ‘ফোকাল পয়েন্ট’ হবে ওই সেল। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা ও সমন্বয়ে সেলটি কাজ করবে। তারা আগ্রহী পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা ও লজিস্টিক কার্যক্রম সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মুভমেন্টেও সেলের তরফে সহায়তা দেয়া হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কেউ কোথাও ভোট পর্যবেক্ষণে গেলে তার নিরাপত্তার বিষয়টি সমন্বয় করবে সেল। তবে তারা যদি দলগতভাবে বা জোটবদ্ধভাবে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যেতে চান তবে প্রত্যেক গ্রুপে একজন করে হোস্ট অফিসারও দেয়া হতে পারে।
সরকারের তরফে বিদেশিদের ভোট পর্যবেক্ষণে ‘দলগত মুভমেন্ট’ উসাহিত করা হচ্ছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, গ্রুপভিত্তিক হলে আমাদের জন্য সুবিধা। তাদের মুভমেন্টকে আরো সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা একজন করে অফিসারও প্রত্যেক গ্রুপে যুক্ত করতে পারি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আগ্রহ রয়েছে ( মৌখিকভাবে অনেকে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে) জানিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের তরফে একটি নির্বাচন সেল গঠনের নিদের্শনা জারি হওয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। এমনকি তাদের অফিসও চালু করা যায়নি। তবে সেলে সংযুক্ত কর্মকর্তাদের কাছেই সমস্ত কমিউনিকেশন যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেন কোন দেশ বা কতজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আসছেন সেই ধারণা পাওয়ার সময় আসেনি বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।