পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জেতাতে সশস্ত্র বাহিনীর সুবিধাভোগী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠে নেমেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষে এমন অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী-নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঠে নামছেন। যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তারা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।’
রিজভী বলেন, অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা (অব.) মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন- ‘এরা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা করবেন এবং আপনার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবেন। এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্বাচনে যুক্ত হয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করবেন। আপনি যাতে পরবর্তী সময়ে আবার বিজয়ী হতে পারেন, সে লক্ষ্যে এরাও কাজ করবেন।’
‘তারিক সিদ্দিক বলেন, যেমন যাচ্ছে সেভাবে যেন এগিয়ে যাওয়া যায়, ভবিষ্যতে যেন কোনো বাধা না আসে, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের একাত্মতা ঘোষণা আমাদের ও দেশবাসীকে শক্তি এবং সাহস জোগাবে। অন্য বক্তারাও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় রাখতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন এবং সবাই হাত তুলে সমর্থন দেন,’ যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
রিজভী আরও বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আচরণবিধির ১৪ ধারায় বলা আছে-সরকারের সু্বিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না।
‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে-গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেড়শ সেনা কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার যে অঙ্গীকার করেছেন, তা কি আচরণবিধি ভঙ্গ নয়?’
সরকারের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এবং রাষ্ট্রীয় ভবন গণভবনকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।