Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন : ব্যাংকে চাকরি করা কী জায়েজ। ইসলামী ব্যাংক কেমন?

জান্নাতুল ইসলাম
ইমেইল থেকে।

প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

উত্তর : শরিয়া অনুযায়ী যেসব ব্যাংক চলে, সেসবে চাকরি করা জায়েজ। যেসব ব্যাংক সুদভিত্তিক সেসবে চাকরি করার বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। ব্যাংকের যেসব পদ সুদি অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত নয়, যেমন- সিকিউরিটি, গাড়ি চালনা, মালি, সাধারণ শ্রমিক ইত্যাদি এসব চাকরি করা যাবে। যদি ব্যাংকটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্য কোনো জব থাকে, তাও করা যাবে। ব্যাংকটি যদি সরকারি হয়, তা হলে সরকার নিয়োজিত চাকুরে হিসেবে ব্যাংকের নির্দোষ যে কোনো কাজ করা যাবে। শুধু সুদ দেয়া, নেয়া, সাক্ষী থাকা, লেখালেখি, কমিশন, অ্যাজেন্ট বা সরাসরি সুদ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করা জায়েজ হবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কেবলই সুদি মহাজনি প্রতিষ্ঠান হয়, তা হলে মাসয়ালা একরকম। এতেও মূল কাজ ছাড়া অন্যান্য নির্দোষ সার্ভিস করা যায়। আর যদি প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক কাজের জন্য খোলা হয়, কিন্তু এতে সুদের কারবার মিশ্রিত থাকে, তা হলে সাধারণভাবে এর সকল চাকরি নাজায়েজ নয়। শুধু সুদি অংশটি নাজায়েজ। সুতরাং সংক্ষিপ্ত আলোচনাটি মাথায় রেখে বিজ্ঞ কোনো ফকিহ কিংবা শরিয়া বিশেষজ্ঞ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেই নিজের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ফতোয়া জেনে নেবেন। এক কথায় উত্তর দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কেননা, বিষয়টি বিশ্লেষণ ও গবেষণার দাবি রাখে। 


সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • মেরিনা ঈ ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৩২ এএম says : 1
    অনেকে বলেন তাহাজ্জুদের নামায পরতে হলে এশার নামাযের পরের তিন রাকআত বেতের নামায বাদ রেখে নাকি পরতে হয় এবং তাহাজ্জুদ শেষ করে তারপর বেতের নামায পরতে হয়। এটা কতটুকু সত্য?
    Total Reply(0) Reply
  • Ameen Munshi ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ২:১৪ এএম says : 1
    ধন্যবাদ লেখককে। প্রশ্ন উত্তরটি অনেকের উপকারে আসবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Shah Alam ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ২:১৫ এএম says : 3
    আমি মনে করি- ইসলামি ব্যাংক মন্দের ভালো। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকলে দোষের কিছু নাই।
    Total Reply(1) Reply
    • Mohammed N Islam ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৭ এএম says : 4
      Be careful about this issue. We all have interaction with bank someway or other . But Bank related any business is Haram. There is no difference between Islamic or Commercial Bank. I would say Islamic bank is worse because they abusing name of our religion for their benefit.
  • Mohammed N Islam ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৫৪ এএম says : 2
    Commercial Bank is better than Islamic Bank. Doing same business, Islamic Bank abusing the name of Islam for their benefit.
    Total Reply(0) Reply
  • Numan Ahmed ershady ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:০৯ এএম says : 1
    খুবি উপকৃত হলাম। লেখককে ধন্যবাদ ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নুরুল আলম ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৮ এএম says : 1
    প্রশ্নের মধ্যে ২টি অংশ আ। দ্বিতীয় অংশটি হলো, ইসলামীী ব্যাংক কেমন? অনুগ্রহপুর্বক এই অংশটির উত্তর জানাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:১২ এএম says : 1
    উত্তরদাতা পরিচ্ছন্ন উত্তর দেননি। সমস্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে সুদ ভিত্তিক ব্যাবসার উপর ভিত্তি করে। ব্যাংকের প্রতিটা লেনদেন সুদের সাথে জড়িত অথবা লভ্যাংশের সিংহভাগ আসে সুদ ভিত্তিক ব্যাবসা থেকে। তাই একটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাংক টিকেই থাকে হারামের উপর। এই অবস্থায় ব্যাংকের সব পদের চাকুরিই প্রশ্নবিদ্ধ। গ্রামের সুদি কারবারির মহাজনকে যেমন ঘৃনার চোখে দেখা হয়, ব্যাংকগুলোও তার প্রাপ্যতা রাখে।
    Total Reply(0) Reply
  • করিম বিন জলিল ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০২ পিএম says : 1
    যদি ইসলামী ব্যাংক নামে কোনো ব্যাংক এই দেশে প্রতিষ্ঠিত না হতো ,তাহলে এই মাসআলাটা নিয়ে এত বেশি সমাস্যা হতোনা ৷যখন এই মাসআলাটা আমার সামনে পড়ে , এক্যের প্রয়োজনীয়তা তখন একটু বেশিই অনুভূত হয় ৷ সম্মীলিত একটি "ফতওয়ালয়" এর গুরুত্ব অনুধাবন করি ৷ এরকম মাসআলাগুলির একেকজনের একেক সমাধানের কারণে জাতি বিভক্ত হয় ৷
    Total Reply(0) Reply
  • samai ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:১৭ পিএম says : 1
    question Answeris not clear.
    Total Reply(0) Reply
  • হেলাল ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:১১ পিএম says : 1
    এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, দেশের সমস্ত ব্যাংক সুদের উপরই প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় সেহেতু চাইলেই যে কোনো ব্যাংক সুদ মুক্ত অর্থ ব্যবস্থা চালু করতে পারবেননা।তবে কিছু কিছু ব্যাংক ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী উইন্ডো চালু করেছে তবে পুরোপুরি ইসলামিক বলা যাবেনা।পুরো ব্যাংক সেক্টর যেখানে সুদের উপর প্রতিষ্ঠিিত সেখানে হালাল হারামের প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কোনো না কোনোভাবেই সুদ ঢুকছে।বাংলাদেশ তো ইসলামী রাষ্ট্র না তাই সরকার কর্তক নির্দেশিকা আপনাকে মেনে চলতেই হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • বাবু ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:০৫ পিএম says : 1
    হুজুর এর কথার সাথে এক মত না bank এ চাকরি করা আর হারাম খাওয়া একই কথা
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুল হালিম ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৩১ এএম says : 0
    ইসলামি ব্যাংক ইসলামের নাম নিয়ে সুদ খাচ্ছে। অন্য ব্যাংকগুলো সরাসরি খাচ্ছে। আপনি বড়লোক হলে তো আপনার টাকা বেশি লাগবে তাই ব্যাংকে টাকা রাখতেই হবে। আপনার তো বর্তমান সময়ে নগদ টাকা ঘরে রাখাও ছেইফ না। যদি চান জীবনটা মোটামুটি চলে যাক তবে ব্যাংকে টাকা না রাখলেও হবে। তবে ব্যাংক ছাড়া বর্তমানে চলা কঠিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mukul ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৩০ এএম says : 0
    Nice comment
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel ২৯ মার্চ, ২০২০, ৬:১৩ এএম says : 0
    যারা সুদের বিরুদ্ধে জ্ঞান অজন করে সুদের পক্ষে কাজ করে তাদের সম্পকে কাজ করে তাদের সম্পকে আর কি বলব
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন :

৩ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ