পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেপিআই-১ মানসম্পন্ন দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) প্রায় শত কোটি টাকার যন্ত্র পুড়ে গেছে। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার থেকে চালুর কথা থাকলেও ওইদিনই ভোর ৫.৪০ মিনিটের দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া শাখার পি-হিটারে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে মুহূর্তেই অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করণের প্রধান যন্ত্র পি-হিটার, সমস্ত ক্যাবল ও আশেপাশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষের অসর্তকতার কারণে পি-হিটারের অতিরিক্ত তাপে অগ্নিকান্ড ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন। এতে উত্তরাঞ্চলের ২০টি জেলায় সারের চাহিদা মেটানো এ কারখানায় আগামী এক বছরের জন্য ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ থাকার শঙ্কা রয়েছে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ কে এম আনোয়ারুল হক জানান, অ্যামোনিয়া প্লান্টের সিনথেসিস শাখার একটি টিউব হঠাৎ ফেটে যাওয়ায় আগুন ধরে যায়। তবে দুর্ঘটনার এক ঘন্টার মধ্যেই কারখানার নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ রয়েছে, যমুনা সার কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। যান্ত্রিক মেরামতের নামে গত ১১ নভেম্বর থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ উৎপাদন চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও রহস্যজনক কারণে ওইদিন ভোরেই অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় শত কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্র।
এ ব্যাপারে কারখানা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবা সুলতানা বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকাল থেকে উৎপাদন চালুর কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকান্ডের কারণে তা সম্ভব হলো না। বিষয়টি বিসিআইসিকে জানানো হয়েছে। অগ্নিকান্ডের কারণ উদ্ঘাটন করতে ইউরিয়া শাখার কর্মকর্তা অশ্বিনী কুমার ঘোষকে প্রধান করে একটি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করতে মেইনটেনেন্স শাখার জিএম শেখ মো. আব্দুল্লাহকে প্রধান করে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।