পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সড়ক সেতুর সাথে একই দিনে রেল সেতুর উদ্বোধন করা হবে। এ লক্ষ্যে ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা। একনেকে এটিসহ মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যয়ে ঢাকা-খুলনা রেলপথ ও যাত্রাবাড়ী-খুলনা চারলেনের সড়ক নির্মাণের জন্য নেওয়া প্রকল্প হতে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিস্তারিত জানান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, অনুমোদিত ৯ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ১৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৯ হাজার ২৬৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা স্টেশন হতে শুরু হয়ে গেন্ডারিয়া-মাওয়া-পদ্মা সেতু (নির্মাণাধীন) ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত সংযুক্ত করবে এবং ভাঙ্গা জংশন হতে কাশিয়ানী জংশন স্টেশন হয়ে পদ্মাবিলা জংশন হয়ে বিদ্যমান রুপদিয়া এবং সিঙ্গিয়া স্টেশনকে সংযুক্ত করবে। ঢাকা-গেন্ডারিয়া সেকশনে ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইনসহ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭২ কিলোমিটার নতুন মেইন লাইন নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ঢাকা-যশোর, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-দর্শনার মধ্যকার দূরত্ব যথাক্রমে ১৮৪ দশমিক ৭২ কিলোমিটার, ২১২ দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার, ৪৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার কমবে এবং যাত্রা সময়ও কমে যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের ঋণ ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং বাকি ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর উপর পদ্মা বহুমুখী নির্মাণ করা হচ্ছে। যা আগামী ২০১৮ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা। ডাবল ডেক বিশিষ্ট এই সেতুর উপরের ডেকে চারলেন সড়ক পথ এবং নিচের ডেকে ব্রডগেজ সিঙ্গেল রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্পটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া-যশোর রেলপথ নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া সড়ক বিভাগের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ১১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প দুটি অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
একনেকের সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, জাতীয় মহাসড়কের মাগুরা শহর অংশের রাম নগর মোড় হতে আবালপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, ৫৩৩ কোটি ব্যয়ে উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, ৭৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাণীরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্প, ১৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ বেতারের মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র ১ হাজার কিলোওয়াট মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটার স্থাপন প্রকল্প।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।