পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে কিশোরগঞ্জের অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদসহ চারজনকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইবুন্যাল। এছাড়া একজনকে আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছে আদালত। গতকাল (মঙ্গলবার) বিচারপতি মো: আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো: শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো: সোহরাওয়ার্দী।
মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ, শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো: নাসিরউদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নান ও হাফিজ উদ্দিন। আমৃত্যু কারাদ-াদেশ পেয়েছেন আজহারুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শামসুদ্দিন আহমেদ ছাড়া বাকিরা পলাতক। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত একমাত্র আসামি শামসুদ্দিন বলেন, ফলস উইটনেস, ফলস জাজমেন্ট। পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুশ শুকুর বলেন, আমি ন্যায়বিচার পাইনি। আসামিরা ন্যায়বিচার পায়নি। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। আসামিরা যদি উচ্চ আদালতে আপিল করেন তাহলে তারা অবশ্যই খালাস পাবে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারকরা আদালত কক্ষে আসার আগে শামসুদ্দিনকে হাজতখানা থেকে নিয়ে কাঠগড়ায় বসানো হয়। পৌনে ১১টার দিকে রায় পড়া শুরুর কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত তিনি বসেই ছিলেন। তবে ১১টার কাছাকাছি সময়ে তিনি চেয়ার থেকে উঠে কাঠগড়ার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। রায় শেষ হওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিরতি দিয়ে তিনি এভাবে দাঁড়ান। রায় শেষ হওয়ার সময়ও তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। আদালতে তার পরিবারের সদস্যকেও দেখা যায়। গত ১১ এপ্রিল উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। সে অনুযায়ী রায়ের জন্য গতকাল দিন নির্ধারণ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনের মতো সাতটি অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়। ২০১৫ সালের ১৩ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।