পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুরান ঢাকার চকবাজারের এক বাসায় খাটের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় জামিল হোসেন (৩৬) নামে এক ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করছে, পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্ত্রী নিজেই তার স্বামীকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় স্ত্রী মৌসুমী আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপর দু’জন হলেনÑ স্ত্রীর প্রেমিক আসলাম ও তার সহযোগী আল আমিন। ময়নাতদন্তর জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় মার্কেটের একটি স্কচটেপ কারখানার মালিক জামিল। তিনি চকবাজার রহমতগঞ্জের ১৭৭ ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের সফি আহমেদের পুত্র। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে একই রোডের ৫৯ নম্বর বাসার কালাম মিয়ার ৫তলা বাড়ির ২য় তলায় বসাবাস করতেন। তার একটি স্কচটেপ কারখানা আছে। সোমবার সন্ধ্যায় জামিলের বোন শাহেদা পারভীন ও ভাগ্নি রুমা পারভীন থানায় এসে অভিযোগ করেন, ওই দিন ভোর থেকে জামিলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। ঘটনার দিন সকালে দোকানে যাওয়ার কথা বলে জামিল বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন বলে তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছে, জামিল দোকানে যাননি। অভিযোগ পেয়ে রাত ১০টার দিকে মৌসুমী আক্তারকে খবর দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তাকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে মৌসুমীর কথাবার্তা অসংলগ্নতা দেখে তাকে নিয়ে বাসায় যাওয়া হয়। কিন্তু বাসায় ঢুকতে চাইলে স্ত্রী প্রথমে চাবি হারিয়ে ফেলার কথা বলেন। পরে চাপের মুখে চাবি বের করে দেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বাসার দু’টি শোবার ঘরের দুটোই তালা দেয়া ছিল। প্রথম ঘরে ঢুকেই তারা লাশের গন্ধ পান এবং খাটের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় জামিলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেন। লাশ উদ্ধারের পর মৌসুমী বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে আসলাম ও আল আমিন নামের দুই যুবক তাদের বাসায় এসে তার স্বামীকে খুন করে যায়। নিহতের স্ত্রী দাবি করছে, জামিলকে যখন খুন করা হয়, তখন তিনি পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে অন্য ঘরে ছিলেন। আসলাম ও আল আমিন খুন করে চলে যাওয়ার আগে তাকে শাসিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ছেলেকেও হত্যা করা হবে বলে তারা হুমকি দেয়। পরে ভোরের দিকে চকবাজার থেকে আসলাম ও আল আমিনকেও গ্রেফতার করা হয়।
নিহতের ভগ্নিপতি আনোয়ার জানান, ৭ বছর আগে বিয়ে করেন তারা। জামিল ও মৌসুমীর ঘরে তাজ নামের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি মৌসুমী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আর এ কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মুরাদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী মৌসুমীর পরিকল্পনায় আরো দু’জন এ হত্যাকা-ে অংশ নেয়। তিনজন মিলে বটি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এ হত্যাকা- ঘটায়। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক আসলাম চকবাজারের একটি দোকানের ম্যানেজার। ব্যবসায়িক সূত্রে জামিলের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এ সুবাদে মৌসুমীর সঙ্গেও আসলামের পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই বাধা দূর করতেই জামিলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার স্ত্রী মৌসুমী। দুধের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয় জামিলকে। তারপর দুই সহযোগীকে নিয়ে বটি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখা হয় বাসার খাটের নিচে। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।