পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা চাই একটা নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনও রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের শেষ দিন সোমবার সকালে কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিন দিনে তিন ব্যাচে ৬৯১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফিং করছে কমিশন।
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, এই ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে আপনাদের অবস্থান আমরা জানলাম। আমাদের অবস্থানও আপনারা জানলেন। আমাদের অবস্থান হলো- আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাই। অবাধ মানে- ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে যাবে এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে বসবাস করবেন। আর চারদিকের পরিবেশ নিরাপদ রাখার দায়িত্বে আপনারা থাকবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আপনাদেরকে বিচলিত করে, অনেক সময় আপনাদেরকে নানা কারণে উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আপনাদেরকে মিস গাইডিংয়ের মধ্যে ফেলে দেয়। সেই অবস্থাগুলো আপনাদেরকে বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, ক্ষিপ্রতার মাধ্যমে বুঝতে হবে যে, আসলে অবস্থা কি? তারপরই ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিইসি আরও বলেন, কোন ঘটনা সত্য বা মিথ্যা তা আপনাদের বুঝতে হবে। আধুনিক এই যুগে কেন্দ্র, প্রিজাইডিং অফিসার, আপনাদের সহকর্মী যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে তাৎক্ষণিক ভাবে সেই এলাকার অবস্থা জানতে পারেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আপনাদের কাজ। যারা দেশের শাসনভার গ্রহণ করবেন। যারা মহান জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। যারা মন্ত্রী, স্পিকার, দেশ পরিচালনা করবেন। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবেন তারা প্রত্যেকে সম্মানী ব্যক্তি। আমি জানি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদেরকে কখনো বিভ্রান্তির পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবেন না। তাদের ওপর আস্থা রাখবেন এবং তাদের কথা শুনতে হবে।
সিইসি বলেন, কখনো ধৈর্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং বুঝে, জেনে, শুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন তাহলে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হবে।
আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা চাই একটা নির্বাচন। আমরা চাই না, সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনও রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক। এইগুলোকে সামলানো ও দেখভাল করা আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের পূর্বে এবং পরে এই সময় আপনাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে থাকতে হবে। তাদেরকে পরিচালনার দায়িত্বে আপনাদের থাকতে হবে, যোগ করেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আচরণবিধি ভালোভাবে রপ্ত করবেন। আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে যেন এমন কোনো কাজ করবেন না- যাতে একটা নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বার বার বলি, আপনারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। সুতরাং সেই বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে কখনো নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি ব্যাহত হয়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা আমরা নির্বাচন করব। নির্বাচন উঠিয়ে নিয়ে আসব। সেখানে সেই পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই দায়িত্বটুকু আপনাদেরকে পালন করতে হবে। সেটা পালন করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এবং পালন করতে হবে আচরণবিধি সংক্রান্ত কিছু আইনের ধারা আয়ত্তের মাধ্যমে।
নূরুল হুদা আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আমরা সেটাকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নিরপেক্ষতা থাকতে হবে এবং ক্ষিপ্রতা থাকতে হবে। কখনো নিজেরা আইন-কানুনের অবস্থান থেকে চ্যুত হবেন না এবং সব থেকে বড় কথা হলো- আপনাদের ধৈর্য্য সহকারে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। কাউকে বিরক্ত করে বা বিরাগভাজন হয়ে নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।