Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনা জেলায় বসে থাকবে না, মুভ করবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৫ পিএম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা বাহিনী শুধু জেলা সদরে বসে থাকবে না। কোনো সহিংসতা ঘটনা ঘটলে সেখানে নিজ উদ্যোগে গিয়ে তা প্রতিহত করবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম। রোববার দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় সিইসির সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন।

ইতিমধ্যে সিইসি গণমাধ্যমে বলেছেন, ১৫ডিসেম্বর পর থেকে জেলায় সেনা বাহিনীর ছোট টিম মোতায়েন থাকবে।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি সিইসিকে বলেছি নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে, নাকি তারা ফ্রিলি মুভ করবে। একটি এলাকায় ভোট কেন্দ্রের এক মাইল দুরে ভোটারদের কেন্দ্রের আসতে বাধা দেয়া হলে তখন ভূমিকা কী হবে। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা আশ্বস্ত করেছেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মুভ করবে। তারা জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানেই সন্ত্রাস হবে, দে উইল রান ফর দ্যাট।

সিইসি আরো বলেছেন, নির্বাচনী এলাকায় যে ধরণের সহিংস ঘটনা হলেই সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করবে। সেনাবাহিনী নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিহত করবে। তারা বসে থাকবে না। দ্যা উইল একটিভ অ্যান্ড মুভ অ্যারাউন্ড।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা এলাকা ছাড়া। আমি নিজে ছয় বার নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় যেতে পারছি না। আমার মতো অনেক নেতা এলাকার বাইরে আছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা ভোলা-৩। এই আসনে তফসিল ঘোষণার পর হয়রানিমূলক যে সব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনকেও তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। সিইসি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে কোনো ধরণের সহিংসতা বরদাশত করবেন না।

ইভিএম প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম একটি বিতির্কিত ভোটিং মেশিন। জার্মানি এটা বাদ দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে কেবল এই মেশিন চালু আছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। ইউরোপিয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশেই এটা নাই। আশাকরছি, আগামী নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের দাবির পুনর্বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ