Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের কমান্ডে সেনাবাহিনী কিভাবে কাজ করবে প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৭ পিএম

পুলিশের অধীনে সেনাবাহিনী কিভাবে কাজ করবে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী পুলিশের কো-অর্ডিনেশনের মধ্যে থাকবে, যা নজিরবিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক। সিইসি বলেছেন যে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবে। পুলিশের কমান্ডে কি করে সেনাবাহিনী কাজ করবে? সেনাবাহিনীকে আর কত ছোট করা হবে? সাধারণত: সেনাবাহিনী যেখানে ডেপ্লয়মেন্ট হয় সেখানে রাষ্ট্রের অন্যান্য বাহিনীগুলো (বিজিবি, পুলিশ, আনসার ইত্যাদি) সেনাবাহিনীর কমান্ডেই কাজ করে। এটাই বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন নিয়ম। রোববার (২৫ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে গর্বিত বাহিনী হিসেবে সকলের নিকট সমাদৃত হয়েছে, সেই বাহিনীকে আর কত নিচু করা হবে ? যে সেনাবাহিনী আমাদের জাতীয় দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলায় মানুষের জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে উপদ্রুত এলাকায় দ্রুতগতিতে ছুটে যায়, সেই বাহিনীকে আর কত হেয় করা হবে ?
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ না করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে সিইসি এ নির্দেশনা দেন। সিইসি বলেন, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আপনারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন না। এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ ইসির নির্দেশে কাজ করছে, ইসির নির্দেশ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ভোটার বিহীন নির্বাচনেরই আলামত ফুটে উঠছে।
রিজভী বলেন, সিইসি বলেছেন-পুলিশ ইসির নির্দেশ মতোই কাজ করছে, সুতরাং সিইসি স্বীকার করে নিলেন যে, সারাদেশে যত হামলা, মামলা, গায়েবি মামলা, গ্রেফতারসহ সবকিছু হচ্ছে সিইসির নির্দেশে। সেক্ষেত্রে যশোরের বিএনপি নেতা ও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু বকর আবু’র লাশ বুড়িগঙ্গায় ভেসে ওঠাটা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কার হলো তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন চান না, যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে-এটাই কমিশনের মনোবাসনা। একতরফা নির্বাচন করতে, দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই তিনি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য নয়। সিইসির বক্তব্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবেন না, সাংবাদিকরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তাহলে কি শুধুমাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী আর আওয়ামী চেতনায় সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে নির্বাচন করবে ? ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিতেই যাবতীয় আয়োজন করা হচ্ছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে। বর্তমানে যে পরিবেশ বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে কোন ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবে না। সুতরাং সিইসির বক্তব্যে পরিষ্কার হলো যে, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায় তিনি নিজেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ