পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরনো ট্রাকে উঠেছে জাতীয় পার্টি। দীর্ঘ ৫ বছর ক্ষমতা এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নিয়ন্ত্রণ কার্যত ছিল আওয়ামী লীগের হাতে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-মহিলা লীগের মতোই আওয়ামী লীগের ইচ্ছানুযায়ী রাজনীতি চর্চায় করায় নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছে জাতীয়তাবাদী ধারার এই দলটির।
স্ত্রী রওশন এরশাদের অধীনে রাজনীতি করা এরশাদ তিনশ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও মহাজোট থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ২২ আসন চূড়ান্ত হয়েছে। এই ২২ এর সঙ্গে আরও ৯টি আসন যোগ হয়েছে সেগুলো আওয়ামী লীগের পছন্দের প্রার্থীকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করানো হবে। তবে দলটি আরো কয়েকটি আসন চায়। এ নিয়ে আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
একাদশ নির্বাচনে আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেনদরবারের পর দলটি গত কয়েক দিনে দুই দফায় চিঠি দিয়ে আওয়ামী লীগকে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগাদা দেয়। এখন পর্যন্ত বিষয়টির সুরহা হয়নি। মহাজোটের পক্ষ থেকে দলটিকে গতকাল পর্যন্ত ২২ আসন চূড়ান্ত করা হয়। সঙ্গে যোগ হয় আরো ৯টি আসন। তবে কয়েকটি আসন ছেড়ে দেয়ার ইংগিত দেয়া হয়। কয়টি আসন দেয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে এরশাদ চাইছেন ৬০ আসন। গতকালও দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ৪ ঘন্টা বৈঠক করেন। অতপর মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, একাদশ নির্বাচনে আসনের দাবিতে কম গুরুত্ব দিয়েই আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি। আশা করছি সন্মানজনক আসন পাবো।
রাজধানী ঢাকা, রংপুর, সাতক্ষিরা ও নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করলেও এরশাদ কার্যত আড়ালেই রয়ে গেছেন। আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত এরশাদকে নিজের পার্টি এবং মহাজোটের নীতি নির্ধারকরা বিশ্বাস না করায় তাকে আসন ভাগাভাগিতে রাখা হচ্ছে না। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে এরশাদ ‘আমিই জাতীয় পার্টির সবকিছু’ ঘোষণা দিলেও বর্তমানে পার্টির নিয়ন্ত্রণ রওশন এরশাদের হাতে। দলের সিনিয়র নেতারা এরশাদকে মাইন্যাস করে হলেও মহাজোটে থেকে নির্বাচনে এমপি হয়ে আসার ব্যাপারে একাট্ট। এরশাদ সকাল-বিকাল যাতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে না পারেন সে জন্য এরশাদ সামনে আসছেন না।
১৬ নভেম্বর ‘ডাক্তারি পরীক্ষা’র জন্য এরশাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান। ১৮ তারিখে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও নিজের বাসা প্রেসিডেন্ট পার্কে না এসে অন্যখানে উঠেন। অতপর গুলশানের একটি হোটেলে দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে তিনশ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়ে পর্দার আড়ালে চলে যান। তবে বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্ট পার্কেই রয়েছেন। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা জানান, এরশাদকে দলের লোকজন তো নয়ই; এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বিশ্বাস করেন না। ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলও তার উপর বিরক্ত। মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে বিরোধ হলে তিনি যদি আবার ড. কামালের ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার ঘোষণা দেন; সে জন্যই কৌশলে তাকে আড়ালে রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার এক নেতা বলেন, আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার অবস্থা এমন যে এরশাদকে মাইন্যাস করে হলেও তারা আওয়ামী লীগের যে কোনো প্রস্তাবে রাজী হবেন। কিন্তু এরশাদ মুরগি ধরার মতো কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ধরে এনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের মহাজোটের প্রার্থী করা হতে পারে। সুত্র জানায় জাতীয় পার্টি থেকে তিনশ আসনেই ডামি প্রার্থী দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দলের প্রার্থীদের এই ইংগিত দেয়া হয়েছে। ওই প্রার্থীদের কাজ হবে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ভোটারদের ভোটে ভাগ বসানো। একাধিক আসন উন্মুক্ত রাখাও হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।