Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি আসন এখনো অনিশ্চয়তায় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দক্ষিণাঞ্চলে রাজনীতি আর ভোট নিয়ে সরগরম থাকলেও সম্ভাব্য মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থীদের অনিশ্চয়তা কাটছে না। সাধারণ মানুষের কাছে এ মূহুর্তে প্রধান আলোচনার বিষয় ‘মহাজোট আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন কারা’। এর পাশাপাশি আরেকটি বড় প্রশ্ন ‘নির্বাচন কি অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে’।
এদিকে প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে উভয় জোটেরই শতাধিক নেতা তাদের অনুসারীদের নিয়ে গত দু’সপ্তাহ ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে কোন কোন মনোনয়নপ্রত্যাশী তাদের ‘প্রার্থীতা নিশ্চিত বলে’ এলাকায় প্রচারণার পাশাপাশি আনন্দ মিছিলও করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ভোটারদের মাঝে কৌতূহলের কমতি নেই।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি সংসদীয় আসনে ৬২ লাখ ২১ হাজার ১১০ জন ভোটার এবারের নির্বাচনে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে দোলাচলে আছেন। ২০০১ সালের ১২ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ২৩টি সংসদীয় আসনের ৫০ লাখ ৯২ হাজার ১০৬ জন ভোটারের ৬৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ২৩টি আসনের মধ্যে বিএনপি ১৭টি, আওয়ামী লীগ ৩টি এবং জামায়াতে ইসলামী, জেপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টি করে আসন লাভ করে। ঐ নির্বাচনে বিএনপিসহ ৪ দলীয় জোট বরিশাল বিভাগে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট লাভ করে।
সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের জরুরি অবস্থার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাস করে ২টি কমিয়ে ২১টি করা হয়। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬টি, বিএনপি ২টি, জাতীয় পার্টি ২টি এবং বিজেপি ১টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগ প্রায় ৪৬ শতাংশ এবং বিএনপি ৩৩ শতাংশ ভোট লাভ করে। নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ৪৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ৮৪ দশমিক ১৭ শতাংশ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। যা এ যাবতকালের একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে সর্বোচ্চ হলেও দেশের সবগুলো বিভাগের সর্বনিম্ন।
অপরদিকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ২১টি আসনের প্রায় ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ভোটারের মধ্যে ২৮ লাখই কোন ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাননি। ওই নির্বাচনে ১১টি আসনেই মহাজোটের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন। অপর ১০টি আসনে মহাজোটের ঘরের বিরোধী দল খ্যাত জাতীয় পার্টির সাথে ভোটের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
আসছে সংসদ নির্বাচনে দুই বড় জোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে জনমনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকলেও নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা চাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ ভোটাররা। তবে ভোটের আগে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের বদলি না করা, তাদের অতীত কার্যক্রমের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এখনো সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ-সংশয় রয়ে গেছে।
গত ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মনে সংশয়-সন্দেহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ মহাজোটের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীই নির্বাচনে লড়াই করার চেয়ে মনোনয়ন লাভকেই বিজয়ের প্রথম সোপন বলে মনে করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ