Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসি এখনো আস্থাহীন

পর্যবেক্ষণে আগ্রহী বিদেশীরা

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:২৯ এএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮

৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের সব প্রক্রিয়া চলছে। ইসিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়াও শুরু হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব যারা পালন করবেন, তাদের প্রশিক্ষণ ও দিক-নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনীও নির্বাচনী মাঠে নামবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ না দেখালেও সব দল অংশগ্রহণ করায় তাদের মধ্যেও সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তারা ইসির সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন।
এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের ওপর এখনো আস্থা রাখতে পারছে না নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। সাধারণ মানুষও মনে করছেন কর্মকান্ডে ইসির দুর্বলতা ওপেন সিক্রেট। রাজনৈতিক দলের সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় এই দুর্বল চিত্তের ইসি দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান কঠিন। বিশেষ করে সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি পদমর্যাদার ৯২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে তাদের নির্বাচন কর্মকান্ড থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবি জানানোর পর ইসির নির্বিকার ভ‚মিকায় মানুষের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ-সংশয় আরো বেড়ে যায়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসি নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশনা দিচ্ছে। তা ছাড়া সিইসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে নুরুল হুদা কমিশনের অধীন নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো আভাস মেলে না। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের হাত অনেক লম্বা। তারা চাইলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেন। করবে কি-না সেটাই কথা।
নিয়মানুযায়ী, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য হলো- নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। সে কারণেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে তার আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। অথচ সাংবিধানিক এই বাধ্যবাধকতার ব্যত্যয় ঘটছে পদে পদে। ইসিতে এসব নিয়ে নিত্যদিন অভিযোগ করছে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু ইসি নির্বিকার। প্রতিকারের কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও ‘শতভাগ সুষ্ঠু’ নির্বাচন হয় না। আমরা একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন করতে চাইছি। ইসির সঙ্গে ২২ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের বদলে তাদের নিজেদের মতো করে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেয়া সচিব, ডিসি, এসপি ৯২ জনের বিরুদ্ধে দলবাজি, আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা এবং পুলিশের গায়েবি মামলা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া প্রসঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বদলি আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন। জবাবে সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও তিন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যতই তালিকা দেয়া হোক, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে তদস্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢালাওভাবে অভিযোগ আমলে নেয়া হবে না’। কমিশনার রফিকুল ইসলাম পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক ডিগ্রি বাড়িয়ে বলেন, ‘আপনাদের হতাশার কিছু নেই। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করে যান’। ইসি থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এমন নির্দেশনা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ইসি ক্ষমতাসীনদের গ্যাঁড়াকলে আটকে গেছে; এরা নিরপেক্ষ ভ‚মিকা পালনে অপারগ।
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, এই নির্বাচনে ইসির নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করা কঠিন। প্রথমত. এবারের নির্বাচন হচ্ছে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। এ অবস্থায় প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন হচ্ছে সংসদ বহাল রেখেই। তাই মন্ত্রী-এমপিরা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন এবং ভোটে তাদের পদের প্রভাব ব্যবহার না করতে পারেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশনকে আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা কর্ণগোচর হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বাস্তবতা ইসির মধ্যে এ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের পর্যবেক্ষকরা ‘মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে’ থাকার নির্দেশনাও ইসির নিরপেক্ষ ভ‚মিকা পালনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ব্রতীর প্রধান শারমিন মুর্শিদ বলেন, ‘এসব বার্তা ইসির ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এমন বক্তব্য দিয়ে নিজের দুর্বলতা প্রমাণ করেছে। প্রশ্ন জাগছে ইসি কী লুকাতে চাইছে? নির্বাচন কমিশন এমন নির্দেশনা কেন দিলো? একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন কি প্রস্তুত নয়?’ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেছেন, ‘পর্যবেক্ষকদের কাজ হচ্ছে কোথায় ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে, কোথায় সুষ্ঠু হচ্ছে না তার রিপোর্ট দেয়া। নির্বাচনে পর্যবেক্ষকরা ওয়াচ ডগের কাজ করেন। পর্যবেক্ষকরা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকলে হবে কেন?’ তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠকে সিইসি ও তিন কমিশনারের বক্তব্যের ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গ্রেফতার করছে। এ অবস্থায় পুলিশের নিরপেক্ষ ভ‚মিকা পালন কঠিন। গায়েবি মামলা এখন আর গায়েবি আওয়াজ নয়। হাইকোর্টও বলেছেন, গায়েবি মামলায় পুলিশের ভাব-মর্যাদা বিনষ্ট হয়। ঢাকা পুলিশ কমিশনার গায়েবি মামলা না করতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের মামলা চালু রয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সিডিউল ঘোষণার আগে যে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে, সিডিউল ঘোষণার পর তার পক্ষে রাতারাতি পাল্টে গিয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভ‚মিকা পালন করা কতটুকু সম্ভব? শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমরা কোনোভাবেই পুলিশের বিতর্কিত কর্মের কারণে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হলে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ওপর বর্তাবে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরাও তার দায় এড়াতে পারব না।
পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গ্রামগঞ্জে সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়ায় সারাদেশের স্কুল, মাদরাসা, কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে ভীতি-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ করেন না বা বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষকদের পোলিং অফিসারের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। তাদের বদলে গ্রামের হাটবাজারে গড়ে ওঠা কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষক যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য ইসিকে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভার শুরুতেই পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ সদস্যদের প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের তথ্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এখন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করবেন না। এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। যদি তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হলে গোপন সূত্র ব্যবহার করে সংগ্রহ করবেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সিইসি বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করবেন না, মামলা করবেন না। আশা করি, আপনারা এটা করছেনও না। প্রশ্ন হলো সিইসি আশা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করছেন না! কিন্তু বিএনপি যে তালিকা দিয়েছে ইসিতে সেটাকে সিইসি কী গ্রেফতার মনে করছেন না? সিইসি বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে চার থেকে পাঁচ হাজার জনের একটি তালিকা দেয়া হয়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওইসব মামলা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের। আর এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য বিএনপির পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘সংবিধান মতে কর্তৃত্ব নয়, বিবেক মতো আপনাদের কাজ করতে হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে’। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ইসি যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আদেশ-নির্দেশ দেয়ার বদলে উপদেশ-অনুরোধ করেন এবং বিবেকের তাড়নায় দায়িত্ব পালনের নির্র্দেশ দেন তা হলে আইনের প্রয়োজন কী? আর প্রশাসনের যারা এতদিন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে ‘বিবেক বন্ধক’ রেখেছেন তাদের পক্ষে কী বেবেকের তাড়না কিছু থাকে?
পর্যবেক্ষণে বিদেশিরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো পাতানো নির্বাচন হতে পারে সে শঙ্কা থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষেকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে আগ্রহ তেমন ছিল না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগেই তাদের অবস্থান জানিয়ে দেন। কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিদেশিরা ভোট পর্যবেক্ষণ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইইউ’র প্রতিনিধি দল আগামী মাসেই আসছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, নভেম্বরের শুরু থেকে নির্বাচন ও গণতন্ত্রবিষয়ক মার্কিন গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই), নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার সঙ্গে যুক্ত ব্যাংককভিত্তিক সংস্থা অ্যানফ্রেল এবং ঢাকায় ফ্রান্স, জাপান দূতাবাসসহ ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসগুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ শুরু করেছে। তারা সবাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। তবে ডিসেম্বরে বিদেশিদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়ায় গতি আসবে। বিদেশিরা পর্যবেক্ষণে আগ্রহী হয়ে উঠায় নির্বাচন কমিশন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নীতিমালায় এবার প্রথমবারের মতো কিছু ধারা যুক্ত করেছে। ইসির এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংস্থা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন সময় আমন্ত্রণ জানায়। ইসি ওই সংস্থাগুলোর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবে।



 

Show all comments
  • M M Acondha ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৫ এএম says : 0
    পুলিশ প্রশাসনের সবকটি বিভাগীয় উপর লেভেল র্ অফিসার প্রত্যাহার সহ ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের প্রত্যাহার করে, ও দেশের প্রত্যেকটি থানার অফিসার ইন্চার্জদেরকে রদবদল করা হলে, একটি সুষ্ট নির্বাচন আশা করা যায়! অন্যতায়..... সরকার দলিয় পুলিশ অফিসাররা প্রভাব বিস্তার করবেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mir Irfan Hossain ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৮ এএম says : 0
    পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধিনে নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Alamgir ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৮ এএম says : 0
    সহমত
    Total Reply(0) Reply
  • আনোয়ার ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৯ এএম says : 0
    প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও যে বাহিনী দলীয় গুন্ডাবাহিনীর মতো কাজ করে, তাদের দ্বারা সুষ্ঠু তো দূরের কথা, একটা যেনতেন প্রকারের সাধারণ মানের ভোট করাও সম্ভব নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • আরিয়ান রাসেল চৌধূরী ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 0
    ১। #বাংলাদেশে #EVM=ইলেট্রিক ভোটিং মেশিন দরকার নাই-মানুষ নিজেই ভোট দিতে পারে ও গনতেও পারে, তার জন্য ইলেকট্রিক VOTE মেশিনের দরকার নাই। ২।#দরকার ভুয়া ভোটার ও জ্বাল ভোটার ঠেকাতে #EVCM= ইলেকট্রনিক্স ভোটার চেকিং মেশিন, কারন সঠিক ভোটার একবার ভোট দিলে প্রিন্ট করার পেপার বের হবে, আর ভুয়া ও জ্বাল ভোটার হলে, লালবাতী শব্দ সহকারী জ্বলবে । ৩।অতিরিক্ত ভোট পেপার/ভুতড়ে ভোটার/ভোট পেপার ছিনতাই বন্ধের জন্য #OEVPM= অটো ইলেকট্রনিক্স ভোট প্রিটিং মেশিন, -যাতে ভোট কেন্দ্র দখল রোধ করা যায়। যেহেতু, সঠিক ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট ছাড়া, ভোটের পেপার প্রিন্টিং মেশিন দিয়ে বের হবে না, তাই ভোট কেন্দ্র দখল করে লাভবান হবে না। আর ভোটার ভোট দেয়ার পর #ভোট_পেপার_বক্স যেন #কেন্দ্রনিয়ন্ত্রকের #অন্ধকার রুমে নেয়া যাবে না, কারন ঐ রুমে প্রশাসনের ইচ্ছা করলে পুরো #ভোটের_বক্স পরিবর্তন করে, রেজাল্ট পরিবর্তন করে ফেলা যায়। তাই #ভোট_দেয়া_পেপার_বক্স সবার #সামনে রাখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Shah Alam ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১:২৭ এএম says : 0
    ইসি আস্থা ফেরাতে এখন পর্যন্ত কিছুই করেনি। সামনে কিছু করবে বলেও মনে হয় না। এরকম আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে আপাতত সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • md shariful islam mahmodi ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৫১ এএম says : 0
    Amar kon montovvo
    Total Reply(0) Reply
  • কাদের আলী ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:২১ এএম says : 0
    ইসি!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Amy Lao ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩২ এএম says : 0
    EC will do everything to win Awami govt. They set everything according to their need not for voters
    Total Reply(0) Reply
  • Shohidul Islam ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:৩০ এএম says : 0
    খুবই দুঃখজনক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ