পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে কিছুতেই পিছু হটবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল এটি ব্যবহারে আপত্তি এমনকি মামলার হুমকি দিলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকার ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী দু’য়েকদিনের মধ্যেই ইভিএম ব্যবহারের চূড়ান্ত কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সোশাল মিডিয়ায় চলা ভোটের প্রচারণা ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারের (এনটিএমসি) সহযোগিতা নেবে কমিশন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। সংসদ নির্বাচনে কতগুলো কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কেউ মামলা করলেও কিছু করার নেই। এই নির্বাচনে সীমিত আকারে এটি ব্যবহার করা হবে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। যেসব দল ইভিএমের বিরোধিতা করে, তারা এসে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আয়োজিত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনে নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ব্যালটে ভোট দেয়ার যে ঝামেলা, সেটি দূর করতে হবে। ইভিএমের মাধ্যমে সেটি করা যেতে পারে। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদ নিবাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আইনগত বাধা নেই। সেটি আমরা ব্যবহার করব। তবে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেখানে কয়েকদিন আগে থেকে মানুষকে এ যন্ত্র সম্পর্কে বোঝাতে হবে, যাতে কোনো সমস্যা না থাকে।
এ দিকে গতকাল ‘ইভিএমকে না বলুন, আপনার ভোটকে সুরক্ষিত করুন’ শীর্ষক সেমিনারে আ স ম রব বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংবিধান বিরোধী। ইসি যদি সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে ইভিএম ব্যবহার করে, তাহলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইসি’র বিরুদ্ধে মামলা করবে। এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের তথ্য না নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি। তবে নতুন কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তথ্য যদি সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় তাহলে গোপন সূত্র বা সোর্স ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া সিইসি জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর একটি টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর এ টিম। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ভোটের তারিখ ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। রাজনৈতিক দলসহ সবার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা এবং নির্বাচন পরিচালনায় আইন ও বিধি-বিধান জানা দরকার। আপনারা নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করবেন সেটি জানলেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জানার কথা নয়। বার বার বিভিন্ন পর্যায়ে এই ট্রেনিং দেয়া হয়ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আপনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।
পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা মাঠে থাকেন, তাই তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তারা প্রশ্ন করবে, জানতে চাইবে। সেটি তাদের বুঝাতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা আছেন, তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। আগে এটি ছিল না, এখন সেটি করতে হবে। তাদের প্রশ্ন শুনে ধৈর্য্য ধরে উত্তর দিতে হবে।
টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারই ইসির ভরসা
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সোশাল মিডিয়ায় চলা ভোটের প্রচারণা ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারের (এনটিএমসি) সহযোগিতা নেবে কমিশন। সেইসাথে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ও দেশে চলমান মোবাইল অপারেটরগুলোর (টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল) সহযোগিতাও নেয়া হবে বলে জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন।
ইসির একজন মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার জানান, মোবাইল ফোনের এসএমএসে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিধি ভেঙে আগাম প্রচার, বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগামী ২৬ নভেম্বর বৈঠকে বসবে ইসি। আইন অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোটের প্রচারের সুযোগ না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেইসবুককে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারে লাগানো হচ্ছে। এই বৈঠকে ঠেকানোর প্রক্রিয়া ও কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বলেন ইসি সচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।