Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভোটে বাধা দিলে প্রতিহত করতে হবে

আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:৩৭ এএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই বিএনপির জন্য শেষ চান্স, শেষ পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, এবার ভোট সুষ্ঠু না হলে বাংলাদেশ আগামীতে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এজন্য এবার দরকার হলে আপনাদেরকে লড়াই করে ভোট দিতে হবে। যারা আপনাদেরকে বাধা দেবে, তাদেরকে প্রতিহত করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না। বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যদি ধানের শীষের পক্ষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভোট কেন্দ্রে যান, কেউ বাধা দিলে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকেন, তাহলে বিজয় সুনিশ্চিত। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকার ভেবেছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে না। বিএনপি নির্বাচন যাওয়ার ঘোষণার পর পরই আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তাদের পরাজয়ের ভয়। তাই পরাজয়ের ভয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে পালিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ কমিশন দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে ঘোষণা দিলাম, তখন মাঠ পর্যায়ে দেখা গেল তাদের গোয়েন্দা সংস্থার যেসব রিপোর্ট দিয়েছে একটা রিপোর্টেও বলেনি যে, তারা জয়লাভ করবে নির্বাচনে। তারা ডেসপারেট হয়ে গেছে, বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা ধানের শীষের জোয়ারকে ভয় পাচ্ছে। আমি বলতে চাই, ধানের শীষের জোয়ার যখন আসবে, তাদের (সরকার) সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত নীল-নকশা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। দেশের মানুষের মনের যে ইচ্ছা, সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের সমালোচনা করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক এ সংস্থাটি এখন সরকারের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, এখন সব কিছু নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছুই নাই। এটা দন্তবিহীন একটি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের একেবারে শুধু তল্পিবাহকই নয়, সরকারের একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানীমূলক মামলা বন্ধের প্রতিশ্রæতি দিলেও এলাকায় এলাকায় এখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয় গ্রেপ্তার, নয়ত ঘরছাড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় শুনে এসেছিলাম তফসিল ঘোষণার পরে সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধিনে আসবে। আজকে সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে দেখা যাচ্ছে এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রিটার্নিং অফিসার, যাদের নিরপেক্ষ থাকার কথা, তাদের নির্বাচন কমিশন ডাকলেন সভা করলেন এবং তার পরপরই তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে সভা করা হল। ইসি কোনো প্রতিবাদ করে নাই। কারণ নির্বাচন কমিশন ও সরকার তো এক, তাদের লক্ষ্য একই- কেমন করে আওয়ামী লীগকে আবার জয়ী করা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে অতিরিক্ত সচিব ৩৭ না ৪৩ জনকে তারা বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ করেছেন উন্নয়নের নামে। উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শনের জন্য। হঠাৎ করে কেন এটার প্রয়োজন পড়ল? আসলে তা না, নির্বাচনী প্রক্রিয়া কীভাবে প্রভাবিত করা যায়, ওই ডিসির ওপর চাপ রাখার জন্য ওই অতিরিক্ত সচিবদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।
নাগরিক আন্দোলন ফোরামের সভাপতি একেএম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবিরা নাজমুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ