অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ (ওভার এক্সপোজার) কমিয়ে আনতে ব্যাংকগুলো একক (সলো) ও কনসোলিটেড উভয় পদ্ধতিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে পারবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সমস্যা সমাধান কেস-টু-কেস ভিত্তিতে করা হবে। কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সবার এক্সপোজার সমান নয়। প্রত্যেক ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছে, তাদের কি পরিমাণ সহায়তা লাগবে। তার আলোকেই সমাধান করা হবে। গতকাল সোমবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ কথা জানায়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক্সপোজার ইস্যুতে আপাতত কোনো সার্কুলার জারি করা হবেনা। কারণ নীতি সহায়তার ব্যাপারে একেকটি ব্যাংকের একেক ধরনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ওইসব ব্যাংকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ব্যাংকগুলো আমাদের জানাবে তাদের কোথায় কোথায় সমস্যা আছে। আমরা পৃথক পৃথকভাবে ব্যাংকগুলোর সাথে বসলে তাদের দ্রæত সমাধান এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ সহায়তা দেয়া সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২টি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের কাগজপত্র পাঠিয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তাদের অতিরিক্ত বিনিয়োগ কমিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সে বিনিয়োগ কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় সরকার।
আইন পরিবর্তন না করে বিনিয়োগ ঠিক রাখতে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানে মূলধন বাড়িয়ে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য একটি নীতি-সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ব্যাংকের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন নীতি সহায়তা বিষয়ক প্রজ্ঞাপণ জারি করবে না। ব্যাংক ভিত্তিক সমস্যা সমাধান করবে। জানা গেছে, এজন্য ব্যাংকগুলোকে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ ও ব্যাংকের পরিচলনা পরিষদের অনুমতি নিতে হবে। সে অনুমতিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র পাঠাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। এর ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে আর অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।