পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কে কী বললেন, তার ওপর খুব বেশি কিছু নির্ভর করে না। তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার যোগ্য আছেন। খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। গতকাল (সোমবার) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার জন্য যোগ্য আছেন এবং নিসন্দেহে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। তফসিল ঘোষণার পরেও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। সরকার একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয় না। আবারো আমরা বলছি যে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে এই গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া অত্যন্ত জরুরী।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার জন্যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্যে এবং দেশের মানুষের অধিকারকে ফিরে আনবার জন্যে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যজোট শুরু করেছে, বিরোধী দলগুলো শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এই নির্বাচনকে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি বলেই আমরা একটা অসমত ভূমিতে যেথানে সরকার সম্পূর্ণভাবে কর্তৃত্ব করছে এবং তার সমস্ত যে নীল নকশা তা বাস্তবায়ন করছে এর মধ্যেও আমরা নির্বাচনের মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক তাদের সাক্ষাৎকার অব্যাহত রেখেছি। এই প্রতিকূলতা এখন পর্যন্ত একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য যথেষ্ট নয়। সরকার বিরোধী দলের কোনো দাবি গ্রাহ্য করেননি। নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেননি, তারা সংসদ ভাঙেনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন যে, নতুন করে গ্রেপ্তার করা হবে না, মামলা দেয়া হবে না তারও কোনো বাস্তবায়ন নেই। আমরা খবর পেয়েছি যে, গতকালও (রোববার) আমাদের সাক্ষাৎকারের জন্য যশোরের ভাইস প্রেসিডেন্ট আইয়ূব সাহেবকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার খবর আমরা পাইনি। আমরা প্রায় দেখছি গ্রেপ্তার করছে এবং কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষোভের বিষয় আমাদের ভালো প্রার্থী তাদের বিরুদ্ধে মামলায় দিয়ে তাদের জামিন না দিয়ে জামিনের শুনানি বিলম্বিত করা হচ্ছে তারিখ নির্বাচনের পরে দেয়া হচ্ছে যেটা একটা নতুন কৌশল। তারা নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে এই নির্বাচনের ওপর প্রভার ফেলছে। আমরা এ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সরকারের নজরে এনেছি। কোনো রকমের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার আগ্রহ তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করি না। দলের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে কোন্দল আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রার্থিতা নিয়ে কোনো কোন্দল নেই। আমাদের প্রার্থীরা এখন ঐক্যবদ্ধ। যিনি মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষেই সবাই কাজ করবেন। কারণ এই নির্বাচনটাকে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। এই নির্বাচনের বিজয়ের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলের প্রতি আনুগত্যতা ও গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যতা কে মানদন্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।