Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিল্প প্রতিষ্ঠানে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:২২ পিএম, ২ মে, ২০১৬

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য শিল্প-কারখানায় শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়াতে হলে আমাদের মালিক-শ্রমিকের একটা সুন্দর সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। মালিকদের মনে রাখতে হবে যে, শ্রমিকের উৎপাদনমুখী কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হলে শ্রমিকরা আনন্দের সাথে কাজ করবে। এতে উৎপাদন ও পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে। পক্ষান্তরে বেশী লাভবান হবে মালিকরাই। শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারখানা যেন ভালোভাবে চলে সে জন্য শ্রমিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা এটা তাদের রুটি-রুজির ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, যত্রতত্র জমি কিনে শিল্প-কলকারখানা করবেন না। সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে। সেখানে শিল্প-কারখানা স্থাপন করুন। তাহলে গ্যাস, বিদ্যুৎ পানিসহ যা যা লাগে সেগুলো দেয়া হবে। তিনি বলেন, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের মুখে খাবার দিতে হবে। এ জন্য কৃষি জমির প্রয়োজন। তাই যেখানে সেখানে শিল্প-কারখানা করবেন না। জমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ কারণে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প-কারখানা করুন। তিন শ্রমিকদের জন্য বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও থাকার ভালো ব্যবস্থা করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাঁর সরকার বন্ধ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন, আমার কাছে দাবি দাওয়া জানানোর কিছু নেই। আমি জানি কার কি লাগবে। কার কি সমস্যা। তিনি বলেন, সবাইকে কাজ করতে হবে। কেননা বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাইলে কারও কাছে হাত পাতা যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এবং আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রিনিবাস বি রেড্ডি।
প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদ্যমান উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আমরা লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। আজকে প্রবাসে যেই শ্রমিকরা যান তাদের কল্যাণের জন্য সরকার বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, তাদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হচ্ছে। যেখানে সকল তথ্য থাকে। তাদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। তারা কোথায় কাজ করবে, বেতন কত পাবে, আদৌও তারা বেতন পাচ্ছে কিনা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এসব বিষয় তদারকির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।
অতীতে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির দুরবস্থার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে শ্রমিকদের কল্যাণের কোনরকম উদ্যোগই ছিল না। কোনরকম পার (সীমান্ত) করতে পারলেই তারা ভাবত বিরাট একটা কাজ করে ফেলেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর প্রবাসের শ্রমিকদের কল্যাণে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শ্রমিকের মূল্যই তাঁর সরকারের কাছে সবচেয়ে বড়। তাদের হাতেই দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। তাদের কারণেই দেশ উন্নত হয়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি স্বাধীন দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একাগ্রতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মা যেমন তাঁর রুগ্ন শিশুকে পরিচর্যা করে, তেমনি বঙ্গবন্ধুও ধ্বংসপ্রাপ্ত শিল্প কারখানা একের পর এক গড়ে তুলে শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছিলেন। তিনিই প্রথম পহেলা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক অধ্যায়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর লাভজনক নয় এই কথা বলে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরের সরকারগুলোর আমলেও কারো কারো প্রেসক্রিপশনে এদেশে শিল্প কারখানা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু মাথা কেটে ফেলা কোন সমাধান নয়। আমরা মনে করি কারখানা খোলা রেখেই দেশের উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা চালু করতে হবে, শ্রমিকদের স্বার্থও দেখতে হবে। কারণ তাদের শ্রমেই তো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে অনেক বেশি। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তাঁর সরকার এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রমজান মাসেও আন্দোলনরত শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছিল। সারের দাবিতে আন্দোলন করা ১৮ জন শ্রমিককে লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছিলো। কিন্তু এখন দেশে সে অবস্থা নেই। দেশের শ্রমজীবী মানুষ এখন নিয়মিত বেতন-ভাতা, মজুরি পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের শ্রমিকদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর নির্দিষ্ট করেছি। আমাদের শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্পের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। মোট রপ্তানীমূল্যের দশমিক ৩ ভাগ অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে এই তহবিলে প্রদান করা হবে। এজন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর অধীনে একটা বোর্ডও গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। মাতৃত্বকালীন সময়ে ছুটি ও মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ সহ প্রি-প্রাইমারি থেকে উচচশিক্ষা খাত পর্যন্ত দেশে বৃত্তি, উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা অনেক কাজ করেছি। মনে রাখতে হবে যে, সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আসেনি। আমরা দেশের কল্যাণ করতে এসেছি। জনগণের কল্যাণ করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
জীবন-জীবিকার জন্য সকলকেই কষ্ট করতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে এই দেশটা আমাদের। দেশটাকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে। দেশটাকে উন্নত করতে হবে। সমৃদ্ধশালী করতে হবে। তবেই সকলে ভালো থাকতে পারবেন। ভবিষ্যৎ বংশধরেরা আরো ভালো থাকবে। আমাদের বাংলাদেশ উন্নত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর মাথা উঁচু করে চলতে হলে কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়, কারো কাছে হাত পেতে নয়। নিজেদের শ্রম, নিজেদের মেধা দিয়েই আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে হবে।
মজিবুর রহমানের মৃত্যুতে আ’লীগের ক্ষতি হয়েছে Ñপ্রধনমন্ত্রী
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরিপুর) আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের জন্য বেশ বড় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে যতোবার মনোনয়ন দেয়া হতো তাকে হারানোর কোনো শক্তি আর কারো ছিল না।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে মরহুম সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (মজিবুর রহমান) শুধু একজন ডাক্তারই ছিলেন না, একজন সফল সমাজসেবক ছিলেন। তার মতো একজন নেতাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন মজিবুর রহমান অসুস্থ হওয়ার পর ঢাকায় আনার কথা ছিল, কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হননি। যে হাসপাতাল তিনি নিজ হাতে গড়েছেন, সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি, পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, ডাক্তার ছিলেন, মানবদরদী ছিলেন, তার নার্সিং হাউজে কোনো দরিদ্র লোক আসলে বিনামূল্যে চিকিৎসা করে দিতেন। এ জন্যই গৌরিপুর থেকে তিন তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। একেবারে মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে একাত্মা হয়ে কাজ করতেন; যা একজন রাজনীতিবিদের জীবনে বড় অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের মেয়াদে আমি তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি দারুণ দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো দিন একটি কথাও বলেতে পারেননি। মজিবুর রহমান ফকির গত (রোববার) সারাদিন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেই ছিলেন। এরকম একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদকে আমরা হারালাম আজ।
এর আগে মজিবুর রহমান ফকিরের নামে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক স্বপন, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আনোয়ারুল আজীম আনার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম অংশগ্রহণ করেন। পরে শোক প্রস্তাবটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
এর আগে বিকেলে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তার জানাজায় উপস্থিত হন- জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীরাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
জানাজা শেষে প্রেসিডেন্টের পক্ষে তার সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের নেতারা, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ ও হুইপরা, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষে বিরোধীদলীয় হুইপ মো. নূরুল ইসলাম ওমর এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে রোববার (০১ মে) রাতে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মজিবুর রহমান ফকির গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
তিনি ৮ম, ৯ম এবং দশম জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিল্প প্রতিষ্ঠানে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ