পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুয়ায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যথাযত চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কারাগার কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার রিটের আদেশ পিছিয়ে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করা হয়। গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টের বেঞ্চ আদেশের দিন পিছিয়ে ১৮ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছিলেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে মুরাদ রেজা বলেন, আউট ডোর পেসেন্ট হিসেবে খালেদা জিয়া জেলখানায় বসেই ফিজিও থেরাপি নিতে পারেন। উনি যখনই অসুস্থ হবেন, যদি তার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় কারা কর্তৃপক্ষ মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ নিয়ে সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। বোর্ড যদি মনে করে তার চেকআপ দরকার,সে ক্ষেত্রে তারা কারাগারেই চেকআপ করাতে পারবেন। উনি এখনও বোর্ডের আন্ডারে আছেন।
খালেদা জিয়া পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে দ্রুত কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১১ নভেম্বর রিট করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। রিট আবেদনে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে এর আগে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনটি গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর চিকিৎসার জন্য ৬ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউতে নেযা হয়। এরপর থেকে তিনি ওখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর ৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাকে পুরোনো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন।
সাজা স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া আইনজীবী। গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয় বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পেলে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হবে। কবে আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা পেলে জানানো যাবে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জামিনের জন্যও আবেদন করা হয়েছে। একটি মিথ্যা, বানোয়ট, ভূয়া মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। ভেবেছিলাম এখানে প্রতিকার পাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে হাইকোর্টের এ মামলার শুনানির জন্য সময় েেবঁধে দেয়া হল। পাক-ভারত উপমহাদেশে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে জিয়া অরফানেজ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। পরে ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির সাজা কমানোর আবেদন খারিজ করে দিয়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।