পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে গোয়েন্দা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জীবন বাঁচাতে পুকুরে ঝাপ দেয়ার পর পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বিকালে পানিতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ যুবকের লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নিহতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।
নিহত যুবক মো: ওয়াহেদুজ্জামান (৩৮) সাভারের আমিনবাজার বেগুনবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই আবুল কালাম জানান, ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল আমাদের বাড়িতে আমার ভাই ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতারের জন্য রোববার দুপুরে অভিযান চালায়।
এ সময় ওয়াহিদুজ্জামান পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন পুলিশও তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে পার্শ্ববর্তী রকিব চেয়ারম্যানের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। তখন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও ঝাঁপ দিয়ে ধস্তাধস্তির পর কাদামাখা অবস্থায় আমাদের বাড়িতে এসে গোসল করে পরিষ্কার হয়ে চলে যায়। কিন্তু আমার ভাইকে পুকুরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি।
অবশেষে গতকাল বিকালে তার লাশ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার জন্য গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে ওয়াহিদুজ্জামানের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। পরে তারা গতকাল বিকালে গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) আমিনুুলের শাস্তির দাবিতে বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজর বাসস্ট্যান্ডে নিহতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।