পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। জঙ্গি কার্যক্রম সম্পর্কে পুলিশকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে আরো সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল (সোমবার) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (জানুয়ারি-মার্চ) সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, শুধুমাত্র মামলা নিয়ে, তদন্ত করে সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অপরাধ প্রতিরোধে জনগণ তথা কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পুলিশি কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। প্রতিরোধমূলক পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি গ্রামে গ্রামে মাদক নির্মূল কমিটি গঠনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিন। দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে মাদকের ক্ষতিকর দিকসমূহ তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে সচেতন করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।
আইজিপি জেলা পুলিশ সুপারদের খুনের মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। তিনি উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য দ্রুত ধ্বংস করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।
সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ, দস্যুতা ইত্যাদি মামলা বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় জানানো হয়, মামলার তথ্য ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস) অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সিডিএমএস-এ মামলার নথি হালনাগাদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদ দেয়া হয়।
সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: জহিরুল ইসমাল ভূঁইয়া গত চার মাসের (জানুয়ারি-এপ্রিল/১৬) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। দেশব্যাপী অপহরণ, খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সভায় পর্যালোচনা করা হয়েছে।
সভায় ব্লগার হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, ১১টি ব্লগার হত্যা মামলার মধ্যে একটি মামলার বিচার হয়েছে। তিনটি মামলা বিচারধীন এবং সাতটি মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
সভায় বলা হয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধাবোধ করেন না। জননিরাপত্তা বিধানকালে পুলিশ হতাহতের ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে মোট ১৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্ত আইজিপি অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো: মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমির প্রিন্সিপাল মো: নজিবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো: আবুল কাশেম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।