পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া। গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। ২৪টি গ্রাউন্ডে এই আপিল করা হয়। আপিলে ৪১ পৃষ্ঠার মূল আবেদনের সঙ্গে বিচারিক আদালত থেকে আসা ৬৩২ পৃষ্ঠার নথিপত্র মিলিয়ে প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয়া হয়। গত ১৪ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। রায় পর্যালোচনা করে চার দিন পর আপিল করলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
পরে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও রয়েছে। এই মামলায় অবৈধ ও অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেল জরিমানা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করে সাজা বাতিল ও খলাস চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের কোনো একটি বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যে আদালতেই শুনানি হোক, আপিল মোকাবেলায় দুদক প্রস্তুত।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান গত ২৯ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেন তিনি। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় রায়ে। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই সাজা দেয়া হয়। ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি এই কারাগারে রয়েছেন। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৩১ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ আজ: খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার রিটের আদেশ আজ। গতকাল খালেদা জিয়ার পক্ষে কিছু সম্পূরক তথ্য নিয়ে আবেদনের ওপর শুনানির পর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ আদেশের দিন পিছিয়ে দেন। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর খালেদা জিয়ার রিটের আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান। শুনানিতে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ্, তাঁর চিকিৎসার আগেই রাজনৈতিক কারণে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি শুধু অবিচারের শিকারই হননি, বরং সরকারের প্রতিহিংসার শিকারও হয়েছেন। গত ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।গত ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে রিট আবেদন করা হয়। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।