পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজের, তার পুত্রের ও দলের নেতাদের দুর্নীতি এবং অপকর্মের দোষ ঢাকতেই অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতা হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিজের, তার পুত্রের ও দলের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য গতকাল (রোববার) জাতির সঙ্গে মসকরা করেছেন। তাকে বলব, কথাবার্তা সাবধানে বলবেন। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকার জন্য অন্যকে অপবাদ দেবেন না।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এমনকি এতিমের টাকা চুরি করার জন্য তার বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরেছেন। এ মামলা আদালতে বিচারাধীন। তার শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার বড় পুত্র বিশ্বচোর তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারেক রহমান দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তিনি এখন লন্ডনে ফেরারি আসামি হয়েও বিলাসী জীবনযাপন করছেন। আর ছোট পুত্রের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর সরকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। তাই দয়া করে সাবধানে কথা বলবেন। নিজের দোষ ঢেকে অপরকে দুর্নীতিবাজ বানানোর অপচেষ্টা করবেন না। আসলে যে চোর, সে অন্যকেও নিজের মতো মনে করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবরূপ আজকে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। এ ধারণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। অপরদিকে তারেক রহমানের কাছ থেকে দেশবাসী পেয়েছে হাওয়া ভবনে বসে কীভাবে দুর্নীতি করতে হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে কীভাবে ১০ ভাগ কমিশন খেতে হয়।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের ‘এক নম্বর হুমকি’ বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পেট্রল বোমা মেরে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক মানুষকে আগুনে ঝলসানো হয়েছে। হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। সুতরাং তিনি বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য এক নম্বর হুমকির ব্যক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের এ এগিয়ে যাওয়াকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য দেশে-বিদেশে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিবৃতি আসে বাংলাদেশে নাকি আইএস জঙ্গি আছে। বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এসব বিবৃতি আসলে সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের নতুন পন্থা। আর যুক্তরাষ্ট্রের কিংবা অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে খালেদা জিয়াও বিবৃতি দেন দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। আসলে এ দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি হচ্ছেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, গত রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ৭ বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ওই সমাবেশে তিনি প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কথিত ২৫০০ হাজার কোটি টাকার তদন্তও দাবি করেন।
সংগঠনের সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, এমএ করিম, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম, কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।