পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রতি ১শ’ জনে ২০ জন নারীই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের ৬৫ শতাংশই পরবর্তীকালে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ অবস্থায় পরিকল্পিত গর্ভধারণ ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব- এমন মন্তব্য করেছেন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের ও গর্ভস্থ শিশুদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা অনেক বেশি। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তবে পরবর্তীতে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এ অবস্থায় পরিকল্পিত গর্ভধারণ ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং যাদের এখনো ডায়াবেটিস হয়নি তাদেরকে এ রোগ প্রতিরোধে সচেতন করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ডায়াবেটিস যেহেতু বহুলাংশেই (৮০ ভাগ পর্যন্ত) প্রতিরোধযোগ্য, ফলে এখনই যদি এ রোগের প্রতিরোধ না করা যায়, তাহলে এই সংখ্যা ২০৪০ সাল নাগাদ প্রায় ৬৪ কোটিতে পৌঁছানোর আশংকা করছে সংস্থাটি। আইডিএফ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে এ দেশে ৭৩ লাখেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই মহিলা। তা ছাড়া, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এমন অর্ধেকেরও বেশি লোক জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস প্রতিটি পরিবারের উদ্বেগ’। বাংলাদেশসহ পৃথিবীতে এমন পরিবার নেই, যে পরিবারে অন্তত একজন ডায়াবেটিক রোগী, অথবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন এমন মানুষ নেই। ফলে, কোনো পরিবারে ডায়াবেটিক রোগী থাকলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কিংবা পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকলে তার প্রতিকার নিয়ে উদ্বেগ থাকাটা স্বাভাবিক।
এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় এনে সম্প্রতি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে একটি ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা’ প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশব্যাপী ৪০০ কাজীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা পরিকল্পিত গর্ভধারণের ব্যাপারে নবদম্পতিদের পরামর্শ দেবেন। বিয়ে নিবন্ধনের পর কাবিননামায় ‘সুস্থ মা, সুস্থ শিশু, সমৃদ্ধ দেশ- সকল গর্ভধারণ হোক পরিকল্পিত’ কথাটি সীলমোহরযুক্ত করার জন্যও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে কাজীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে ৫০টি ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা-কেন্দ্র’ খোলা হয়েছে। যেখানে নারীরা স্বল্পমূল্যে গর্ভধারণ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। এ রোগ কখনো সম্পূর্ণ সারে না। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শে নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চললে এবং প্রয়োজনে পরিমান মতো ওষুধ গ্রহণ করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের অন্তত ৫০ শতাংশই জানেনই না যে, তাদের ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। আমাদের সকলেরই উচিত সময়ে সময়ে রক্তের গুøকোজ পরীক্ষা করে দেখা যে ডায়াবেটিস আছে কিনা।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এরমধ্যে রয়েছে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর-এর সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা। সকাল ৮টা থেকে ১১টা শাহবাগ (জাতীয় যাদুঘরের সামনে), ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর এবং এনএইচএন ও এইচসিডিপি’র বিভিন্ন কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়। দুপুর ১২ টায় বারডেম মিলনায়তনে আলোচনা সভা। এছাড়া ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টায় পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে শিশু চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগীতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।