পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে একের পর এক হত্যাকা-ের বিচারে সরকারের নির্বিকারত্ব ভারতের জন্য বিপদ ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ইকোনমিক টাইমস। পত্রিকার ওই খবরে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও ২০১৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে। এ কারণে ইসলামপন্থীদের উপর সরকারের নির্ভরতা বাড়ছে। এমনকি হত্যাকা-ের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তিত হয়েছে।
পত্রিকাটির গতকাল প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়- ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ধর্মনিরপেক্ষ (মূলত ইসলাম বিদ্বেষী) লেখক, ব্লগার, অধ্যাপক, কয়েকজন বিদেশি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৫ জনকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে আল-কায়দা ও আইএস ২৩ জনের দায় স্বীকার করে। তবে বাংলাদেশ সরকার কোনোভাবেই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের শরীক থাকার কথা স্বীকার করে না। সব সময়ই বাংলাদেশের এক কথা, এসব সন্ত্রাসী স্থানীয় বাংলাদেশি।
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও ২০১৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ইসলামপস্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে। এই নির্বাচন বিরোধীরা বর্জন করেছিল। এ কারণে ইসলামপন্থীদের উপর সরকারের নির্ভরতা বাড়ছে। এমনকি হত্যাকা-ের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তিত হয়েছে। ফলে জনগণ বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছে না। জনগণের অনুভূতি হল হত্যাকা-ের ব্যাপারে সৃষ্ট জনমতের প্রতি সরকার যেন শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
জনমনে ও রাজনীতিতে ধর্মের ভূমিকার বিষয়টি বাংলাদেশে অমীমাংসিত। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি বিরোধীদের প্রতি কঠোর মনোভাব এবং ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতা, ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপের পুনরুত্থান একই সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের নিয়োগ দানে পরিস্থিতি এক কথায় জটিল।
বাংলাদেশে আল-কায়দা ও আইএসের সক্রিয় কার্যক্রম এবং লোক নিয়োগের ভুরি ভুরি প্রমাণ বিদ্যমান। সবকিছু দেখে শুনে নির্বিকারত্ব এবং চোখ বুজে থাকা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য সমূহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারত নিজেকে শক্ত অবস্থানে উন্নীত করতে পারে। ভারতকে স্মরণে আনতে হবে অতীতে ধর্মীয় কট্টরপস্থীদের মোকাবিলায় তাকে কি পরিমাণ শক্তি ক্ষয় করতে হয়েছে। উদার গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না বা ক্ষতিকর এমন শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বেড়ে ওঠা পরিণামে গণতন্ত্রকেই ধ্বংস করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।