স্টাফ রিপোর্টার : বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের নামে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিটেইলাররা। বিনা খরচে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গুণতে হয়েছে সাধারণ গ্রাহকদের। এমনকি ‘অনেক ক্ষেত্রে একজনের আঙুলের ছাপ দিয়ে অন্য জনের সিমের নিবন্ধনও করা হয়েছে। যা অত্যন্ত অন্যায় বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না।’
গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সর্বশেষ অবস্থা, গ্রাহকদের ভোগান্তি, প্রতারণার শিকার ও হয়রানির চরমসীমায় পতিত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি উপ-কমিটি (ক্যাব) নামের দুটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘বিনা খরচায় করার কথা থাকলেও রিটেইলাররা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’ লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও সংগঠনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতিটি সিমের বিপরীতে ২০-৫০ টাকা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এভাবে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে রিটেইলাররা।’ তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে একজনের আঙুলের ছাপ দিয়ে অন্য সিমের নিবন্ধন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত অন্যায়। ফলে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না।’ দেশের ৬টি মোবাইল অপারেটরদের সেবার নামে প্রতারণার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের এই মোবাইল অপরেটরদের অযথা প্রতিযোগিতায় সমাজে নৈরাজ্য নেমেছে। তারা যখন তখন অযথা ম্যাসেজ দিয়ে গ্রাহকদের টাকা কেটে নিচ্ছে। তাদের দেওয়া ম্যাসেজের ৯০ ভাগই ভুয়া।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর, দপ্তর সম্পাদক কাজী আমন উল্লাহ মাহফুজ প্রমুখ।