পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) সিম পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। এরপর যেসব সিমের নিবন্ধন থাকবে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বিভিন্ন কারণে কয়েক কোটি সিম নিবন্ধিত না হওয়ায় বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষাপটে ঘোষিত সময়সীমার শেষ দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সময়সীমা বৃদ্ধির এই ঘোষণা দেয়া হয়। গতকাল (শনিবার) বিকালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে তারানা হালিম বলেন, ৩১ মে রাত ১২টার পর কোনো সতর্ক সঙ্কেত ছাড়া সাময়িক নয়, আমরা সম্পূর্ণভাবে সিমটি ডি-অ্যাকটিভ করে দেব। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল ৩০ এপ্রিল। কিন্তু ১৩ কোটিরও বেশি মোবাইল সিমের মধ্যে সাড়ে ৮ কোটির মতো সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়। এর বাইরে আঙুলের ছাপ না মেলাসহ বিভিন্ন কারণে সোয়া এক কোটি গ্রাহক সিম নিবন্ধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে সময়সীমা বাড়ানোর দাবি উঠে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও যারা সিম নিবন্ধন করেননি, তাদের পুনঃনিবন্ধনের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অনিবন্ধিত কিছু সিম ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে একবারের জন্য তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। তিনি জানান, ৩১ মে রাত ১২টার পর যে সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে পরবর্তী ১৫ মাসের জন্য সেগুলোর বিক্রি স্থগিত থাকবে। এটা প্রধানত করা হয়েছে, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী নাগরিকদের জন্য, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের যারা কর্মরত আছে তাদের সুবিধার্থে। এই নম্বরগুলো কোথাও বিক্রি করা হবে না। সিম নিবন্ধনে কারিগরি সমস্যারা কথা স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী সকালেই এক অনুষ্ঠানে বলেন, প্রচ- গরমে এই কষ্ট স্বীকার করে যারা সিম নিবন্ধন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত না হওয়া মোবাইল ফোন নম্বরগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও প্রায় ১৫ লাখ প্রতিবন্ধীর ক্ষেত্রে সেটা কার্যকর হবে না। সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠনের পরিষদ (পিএনএসপি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আঙুলের ছাপ না থাকা ও শারীরিকভাবে অক্ষমরা সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে তারানার কাছে অভিযোগ করা হয়। তখন তারানা বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে প্রায় ১৫ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ আছেন। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের তালিকা ও এনআইডি নম্বর সংগ্রহ করব। সেই অনুযায়ী মোবাইল নম্বরগুলো নিয়ে সেগুলো যাতে ডি-অ্যাক্টিভেট না হয় সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। বায়োমেট্রিক পয়েন্টে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হওয়ার বিষয়ে প্রতিবন্ধী মানুষদের রিটেইলারের কাছে না গিয়ে সরাসরি অপরারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে প্রতি শনিবার প্রতিবন্ধীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সরকার ও বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও অপারেটরা এনআইডির সঙ্গে আঙুলের ছাপ না মেলা এবং এনআইডিতে আঙুলের ছাপ না থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে মিলনায়তনের বাইরে বসানো বুথ থেকে কাস্টমার কেয়ার ব্যবস্থাপকদের ভেতরে ডেকে পাঠান। এ সময় তিনি তাদের কাছে জানতে চান, কারও আঙুলের ছাপ না থাকলে তার নিবন্ধন কীভাবে হবে? তখন সিটিসেলের প্রতিনিধি উত্তর দেন, “যাদের আঙুলের ছাপ নাই তাদেরটা আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র নিই, এনআইডিতে যাদের সমস্যা, তাদেরটা আমরা জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে নিবন্ধন করে দিচ্ছি।” তখন তারানা হালিম বলেন, “যাদের আঙুলের ছাপ নেই তাদের বিষয়ে এনআইডি অফিসে টেলিফোনে যোগাযোগ করার কথা। ভাইবারে ছবি পাঠিয়ে সেখান থেকে কনফার্মেশন পাওয়ার ব্যবস্থা নিতেও আমরা বলেছি। জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়গুলো ছিল এনআইডি করেছে কিন্তু হাতে পাইনি তাদের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা। এনআইডি হাতে পেলে তারা আবার পুনরায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে নেবে।” অপারেটরদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “তার মানে হচ্ছে আমরা সব পক্ষ মিলে মিটিংয়ের পর মিটিং করে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেগুলো মাঠ পর্যায়ে যায়নি। যারা কাস্টমার কেয়ারে আছেন তারাও তো জানেন না।” প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এমটব মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, “আপনারা যে সমস্যায় পড়েছেন তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে। কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়টি আমরা দেখব। অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন পিএনএসপি মহাসচিব সালমা মাহবুব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।