পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। এ অবস্থায় দেশের প্রতিটি নাগরিককে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটা দেখতে চায় যুক্তর্র্রা। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন মুখপাত্র মার্ক সি টোনার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির গত বৃহস্পতিবারের ফোনের প্রেক্ষিত্রে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন টোনারের কাছে। তার জবাব দিতে গিয়ে উপরের ওই মন্তব্য করেন মার্ক সি টোনার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডগুলোর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যেসব মানুষ ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করা হয় তাদের সুরক্ষা দিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রচেষ্টা দিগুণ করার আহ্বান জানান তিনি। এখানে ব্রিফিংয়ের বাংলাদেশ অংশ তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্রসঙ্গে?
উত্তর : বাংলাদেশ নিয়ে।
প্রশ্ন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন। আমি মনে করি সাম্প্রতিক হামলাগুলোর জন্য কে দায়ী এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছুটা ভিন্নমত আছে। ওই ফোনকলের সময় কি এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে?
উত্তর : ভাল কথা। আমি জানি, এ সপ্তাহে আমাদের একজন কর্মচারী ও মানবাধিকার কর্মীকে তার বন্ধু ও সহকর্মীসহ হত্যা করা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে এটিসহ সাম্প্রতিক হত্যাকা-গুলোতে চলমান তদন্তের বিষয়ে ওই ফোনকলে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রস্তাব করেছেন জন কেরি। এই হত্যাকা-সহ সাম্প্রতিক অন্য হত্যাকা-গুলোর পূর্ণ তদন্ত নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এসব মানুষ, যারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করা হয়, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগের উদ্যোগ দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন : এসব হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইসিস ও তালেবান। বাংলাদেশের ভিতরকার পরিস্থিতি কতটা সিরিয়াস? কারণ, বাংলাদেশী সরকার বলছে, এসব হামলার নেপথ্যে দায়ী হলো বিরোধী দলগুলো।
উত্তর : এ সব দায় স্বীকারের বিষয়ে আমি অবগত। পরিস্থিতি খুবই জটিল। দেখুন, আমি বলতে চাইছি, সরকার এ সব হামলা, নৃশংস হামলা ও নৃশংস হত্যাকা-ের তদন্ত করুক এবং জড়িতদের চিহ্নিত করুক। যেহেতু দায় স্বীকারের বিভিন্ন দাবি আছে সে ক্ষেত্রে আমি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। এ সব দায় স্বীকারকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। তবে সুস্পষ্ট বিষয় হলো, বাস্তবক্ষেত্রে হুমকি রয়েছে। আমরা গত কয়েক সপ্তাহে দেখেছি বেশ কতগুলো নৃশংস হত্যাকা-। তাই আমরা এখন দেখতে চাই, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।