পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পিতামাতাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে দুই ছেলে। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসী গোলাম রাব্বি ও তার স্ত্রী শামীমা রাব্বির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তাদের এপার্টমেন্ট থেকে। এর মধ্যে গোলাম রাব্বি একজন প্রকৌশলী এবং শামীমা রাব্বি একজন একাউন্টেন্ট। এ ঘটনায় তাদেরই দুই ছেলে হাসিব গোলাম রাব্বি (২২) ও তার ছোট ভাই ওমর গোলাম রাব্বি (১৭) পুলিশের কাছে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছে। এর মধ্যে বড় ছেলে হাসিব বলেছে, একজন আগন্তুকের চাপে পড়ে সে তার পিতাকে অনেকবার গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু সে তার মাকে গুলি করে নি। তবে ছোট ভাই ওমর বলেছে, হাসিবই তার পিতামাতাকে গুলি করে হত্যা করে। তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল গ্যারেজে। এক পর্যায়ে সে ওমরকে নির্দেশ দেয় গ্যারেজ থেকে তার পিতার রক্ত বাইরে গড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা পরখ করতে। তবে কোন আগন্তুকের চাপের কথা অস্বীকার করেছে ওমর। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়েছে, কি উদ্দেশ্যে পিতামাতাকে তারা হত্যা করেছে পুলিশ তা উদ্ধার করতে পারে নি। গত সপ্তাহের শনিবারে ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসের এপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় গোলাম রাব্বি ও শামীমা রাব্বিকে। কয়েকদিন ধরে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে স্থানীয় বন্ধু-বান্ধবরা তাদের বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান তাদের মৃতদেহ পড়ে আছে মেঝেতে। পরে ঘটনা নিয়ে তদন্ত হয়। এতে বেরিয়ে আসে এ দম্পতির দুই ছেলের নাম। তার মধ্যে ওমর গোলাম রাব্বি পুলিশকে বলেছে, হাসিব তার পিতাকে হত্যা করার পর সে বাসার জানালার পর্দা টেনে দেয়। এরপর হাসিব তার মাকে হত্যা করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, নিহত রাব্বি দম্পতি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী হন বেশ কয়েক দশক আগে। থাকতেন চার বেডরুমের এক বাড়িতে। সেখানে বড় করেছেন দুই ছেলেকে।
রাব্বি দম্পতির হত্যাকা-ের ঘটনা ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যমে। স্থানীয় বাংলাদেশীদের হতবাক করেছে এ ঘটনা। হত্যার অভিযোগকে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলখানা থেকে স্যান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিব রাব্বি বলেছেন, তিনি এই হত্যাকা-ের আসল কাহিনি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এরপর বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। স্যান হোসের পুলিশ কর্মকর্তা প্যাট্রিক গুরি বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ঐ বাড়ির দেয়ালে তারা কিছু লেখা দেখেছেন, যার সঙ্গে ওমর গোলাম রাব্বির হাতের লেখার মিল রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।