পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দুদকেরও অনেক দুর্নীতি বের হবে। মোশাররফ হোসেন বলেন, দুদক কর-কাস্টমস বিভাগকে টার্গেট করে সেখানে তাদের অফিস স্থাপনের চেষ্টা করছে, তা হবে না। একই সঙ্গে দুদক যাই বলুক, যে প্রতিবেদনই দেক, ইনকাম ট্যাক্স আইন এবং কাস্টমস আইন অনুযায়ী যদি তাদের অ্যাক্টিভিটিস আমাদের এখানে অ্যালাও করে তাহলেই শুধু করতে পারবে, আদারওয়াজই নট। রোববার এনবিআরের সম্মেলন আয়কর মেলা ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সূত্র মতে, এনবিআরের আয়কর বিভাগের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির ১৩ উৎস এবং এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন দুদক গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রীপরিষদ সচিব বরাবর জমা দিয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমি এটা (দুদক প্রতিবেদন) এখনও পাইনি। এ ব্যাপারে আমি দুদকের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কারণ হলো-আপনি যদি একেবারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেন তাহলে দুদকের দুর্নীতিও কতো ধরনের সেটা বের করতে পারবেন। কাজেই সবারই দুর্নীতি আছে আমাদের দেশে, এ সংস্কৃতিটা পরিবর্তন করতে হবে। সেটি পরিবর্তনের জন্য আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়ানো দরকার বলে মনে করে মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের সৎ কর্মকর্তাদের পুরস্কার এবং অসৎ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
দুদকের প্রতিবেদনে আয়কর মেলা আয়াজনে বিলাস বহুল ব্যয় হয় বলে যে দাবি করা হয়েছে সেই বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা দেখেন কোনটা বিলাস বহুল? একজন একটা চিন্তা করতে পারে সেটি বিলাস বহুল, সেটি বিলাস বহুল হতে পারে, আবার আরেকজন এটাকে প্রয়োজন মনে করে বলে সেটি বিলাস বহুল নয়। এক সময় কোনো বিলাস বহুল হবে না।
এদিকে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে ইটিআইএন ধারী করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার টার্গেটে কাজ করছে এনবিআর। একই সময়ে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৩৫ লাখে নিতে চান বলে উল্লেখ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বর্তমানে ২০ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন। এ সংখ্যা আগামী দুই বছরে এটা ৩৫ লাখে নিতে চাই। আর ইটিআইএন নিয়েছেন ৩৫ লাখ করদাতা। এটা আগামী দুই বছরে ৫০ লাখে উন্নীত করতে চাই।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি করনেট বাড়াতে কাজ করছে এনবিআর। এ জন্য বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাসহ সব কর অফিসের জন্য টার্গেট নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে নতুন করদাতা চিহ্নিত করতে টার্গেট দেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের থেকেই নতুন করদাতা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সকল জনপ্রতিনিধি (ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ) ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন তারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনগুলোর সাথে করদাতা বাড়াতে আলাপ-আলোচনা চলছে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে সার্টিফিকেট লাগবে না। নির্বাচন কমিশন যে ঘোষণা দিয়েছে এরপর আমার আর কিছু বলার নেই। তবে এ নির্বাচনের পর কোনো কর খেলাপী যাতে প্রার্থী না হতে পারেন সে বিষয়ে এনবিআর পদক্ষেপ নিবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আইন করবে।
‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর আয়কর মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’। এবারের মেলায় কর বিষয়ক সব ধরনের সেবার পাশাপাশি অডিও ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে করদাতাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার বেইলি রোডের অফির্সাস ক্লাবে আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাত দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলায় করদাতারা ২০১৮-২০১৯ কর বর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। সহজে রিটার্ন দাখিলের জন্য ঢাকার আয়কর মেলায় প্রতিটি কর অঞ্চলের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। মেলায় রেজিস্ট্রেশন বুথে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সাপেক্ষে নতুন করদাতারা রেজিস্ট্রেশন ও বর্তমান (পুরাতন টিআইএনধারী) করদাতাগণ রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-পেমেন্ট ওয়েব সাইট ব্যবহার করে করদাতারা অনলাইনে কর পরিশোধ করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য মেলায় পৃথক বুথ থাকবে। মেলায় স্থাপিত সোনালী ও জনতা ব্যাংকের বুথে করদাতাগণ আয়কর জমা দিতে পারবেন। মেলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন শুল্ক, ভ্যাট, সঞ্চয় অধিদপ্তর, বিসিএস (কর) একাডেমী, কাস্টমস একাডেমী এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের পৃথক বুথ থাকবে। যেখান থেকে মেলায় আগত করদাতারা শুল্ক, ভ্যাট, সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যে কোনো তথ্য জানা যাবে। করদাতাদের মেলা প্রাঙ্গনে আয়কর রিটার্ন, ই-টিআইএন আবেদন ফরম এবং চালান ফরম সরবরাহ করা হবে। করদাতাদের সুবিধার্থে মেলায় হেল্প ডেস্ক, তথ্য কেন্দ্র ও আয়কর অধিক্ষেত্র বিষয়ক বুথ থাকবে। এসব বুথের মাধ্যমে করদাতারা আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ, চালান ও পে-অর্ডার প্রস্তুতসহ আয়কর আইন বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।