পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সান্তানুর রহমান খোকন, শরণখোলা থেকে : পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের পঁচিশ নাম্বার কম্পার্টমেন্টের আগুন চারদিন পর নিভেছে। শনিবার চতুর্থ দিন দুপুর ১২টার পরে কোথাও আগুন বা ধোয়ার ধোঁয়ার কু-লি দেখতে পাওয়া যায়নি। দমকল কর্মীরা গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে অগ্নিনির্বাপণের কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের হিসেব মতে আগুনে প্রায় ২০ একর বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নাশকতাকারীরা সুপরিকল্পিকভাবে এবার বনের অন্তত ২০টি স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় অনেক উদবিড়াল, কচ্ছপ, গুইসাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি আগুনে পুড়ে মারাগেছে। পায়ার সার্ভিস ও আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়া একাধিক সূত্রে এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
শনিবার বিকালে সুন্দরবনে নাশকতার আগুনের ভয়াবহতা সরেজমিনে পরির্দশনে করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. ইউনুছ আলী। আজ রোববার সকালে আসছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে র্দূঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে শরণখোলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করবেন। বন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
বনবিভাগ জানিয়েছে, চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনে চতুর্থ দফা নাশকতার আগুনের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে একটি বিভাগীয় বন মামলা দায়ের করেছে সুন্দরবন বিভাগ। এদিকে এই আগুনের ঘটনায় শরণখোলা থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে খলিলুর রহমান হাওলাদার (৩৫) নামে একজনকে আটক করে গতকাল শনিবার সকালে আদালতে মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান মানিক শানিবার বিকেলে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট বুধবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে পুড়ে গেছে প্রায় ২০ একর বনাঞ্চলরে বিভিন্ন গাছপালা, অনেক উদবিড়াল, কচ্ছপ, গুইসাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি। পানির অভাব, প্রখর তাপদাহ ও তীব্র বাতাসের কারনে আগুন নেভানোর কাজ বিঘিœত হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ধানসাগর স্টেশনে স্ট্যান্ডবাই রাখা হচ্ছে।
সুন্দরবনে নাশকতার আগুনের ভয়াবহতা সরেজমিন পরির্দশন শেষে শনিবার বিকালে ধানসাগর স্টেশন চত্বরে দাড়িয়ে প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. ইউনুছ আলী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, সুন্দরবনে একের পর এক পরিকল্পিত আগুনের ঘটনায় জড়িত সবাইকে আটক করতে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। র্দূবৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। সুন্দনবনের বিলে অবৈধ্য উপায়ে মিটা পানির মাছ ধরতে বনে আগুন দিয়ে কেউ পার পাবেনা। বন বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই দূস্কর্মটির সাথে জড়িত থাকলে তাকেও খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া হবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বন অধিদপ্তর জিরো টলারেন্সে থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।