পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভিটামিন বড়ই নিরীহ ওষুধ। ভিটামিন খাওয়ার জন্যে আবার ডাক্তারের পরামর্শ লাগে নাকি! ওটা তো এমনি এমনিই খাওয়া যায়। এই ধারণার বশবতী হয়ে কম-বেশি আমরা সবাই যখন-তখন নানা রকম বড়তি ভিটামিন খেয়ে থাকি। এই অকারণে ভিটামিন খাওয়া যে ধীরে ধীরে বিপদ ডেকে আনতে পারে এ কথা মাথাতেই আসে না।
ঠিক এই বেপরোয়া ভাবের জন্যেই দিল্লিতে প্রাণ গেল ১০ বছরের এক শিশুর। নিরাপদ মাত্রার থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি খাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তার। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতাল। তবে এক্ষেত্রে রোগীর কোনো দোষ ছিল না। স্বেচ্ছায় নয়, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তারের পরামর্শেই প্রয়োজনের থেকে ৩০ গুণ বেশি শক্তিশালী ডোজের ভিটামিন ডি টানা ২১ দিন খাওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার প্রতিদিন ৬ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাকে।
অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি খাওয়ার ফলে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিন ডি টক্সিসিটি। অসহ্য পেটের যন্ত্রণা এবং বমি হতে থাকে। এআইআইএমএস-এ নিয়ে আসা হলে তাকে ইন্ট্রাভেনাস হাইড্রেশন এবং স্টেরয়েড দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয় না। শিশুটিকে ভর্তি করা হয় পিডিয়াট্রিক আইসিইউতে।
শরীরের ক্যালশিয়ামের মাত্রা অতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্যাঙ্ক্রিয়াটাইটিস এবং ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই মৃত্যু হয় শিশুটির। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।