প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : ছবি ইসলামে সমর্থিত নয়। হাদীস শরীফে আছে, কেয়ামতের দিন সর্বপেক্ষা বেশী আযাব ভোগ করবে প্রাণধারী বস্তুর চিত্রকররা। অপর হাদীসে আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না, যে ঘরে নিষিদ্ধ কুকুর ও প্রাণীর ছবি থাকে। সুতরাং মানুষের ছবি শরীয়তসম্মত নয়। তবে একান্ত প্রয়োজনে ছবি তোলার নিষিদ্ধতা শরীয়ত শিথিল করেছে। যেমন, পাসপোর্ট, আইডি, হজের ভিসা, অধিকার পাওয়া, জমি কেনা-বেচা ইত্যাদি। আপনার শিশুর ছবি তোলা এসব প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে না। আপলোড করা ছবি দেখে যারা সুন্দর কমেন্ট বা দোয়া করেন, এসব পাওয়ার জন্য ছবির মতো নিষিদ্ধ বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। যারা দোয়া করার তারা পোস্ট পড়েই করবেন। সুতরাং এখানে সওয়াবের আশা করা যায় না। যদিও কাগজে প্রিন্ট না করে ভার্চুয়াল জগতের ছবি পরিপূর্ণ হারাম হওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব আলেম সমাজ এখনও একমত হয়ে চ‚ড়ান্ত ফতোয়া দেন নি, তাই বাচ্চার ছবির কারণে হারাম কাজের গোনাহ হবে- একথাটি পরিস্কার বলতে পারছি না। তবে গোনাহের সম্ভাবনা যেহেতু থেকেই যায়, অতএব, সতর্কতার জন্য এ থেকে বেঁচে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, গোনাহ তো হতেও পারে। তাছাড়া হাদীসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জরুরী। যত বেশী গোনাহ থেকে দূরে থাকা যায়, জীবনে ততই রহমত, বরকত ও মঙ্গল আসে। আপনার শিশুর জন্য এ ভাবনাটিই মা হিসাবে আপনার অন্তরে থাকা বেশি ভালো।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।