Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গ্রাহক স্বার্থ ভেবে টাওয়ার ব্যবসার লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত হবে -তারানা হালিম

প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে মোবাইল ফোন খাতের টাওয়ার ব্যবসার লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টাওয়ার ব্যবসায় সম্ভবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক উন্নয়নে মোবাইলফোনের টাওয়ারের স্ষ্ঠুু সমন্বয় করতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত টাওয়ার পরিবেশের ক্ষতি করে, যারা বর্তমানে টাওয়ার করেছেন বা আগে যদি কেউ এই ব্যবসায় রয়েছে নতুনরা এসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে কি-না-এই সব বিষয় বিবেচনা করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে গাইড লাইনটি তৈরি করা হচ্ছে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা উচিৎ, সেই সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই, এটি যেন প্রতিযোগিতামূলক হয়, মনোপলি সৃষ্টি না করে, সবার জন্য যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়। তারানা হালিম বলেন, টাওয়ার শেয়ারিং কস্ট যেন লো হয়, যাতে গ্রাহক পর্যায়ে এর সুবিধা পৌঁছায়, কারণ আমাদের মূল বিষয়টি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করা।
সেমিনারে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বিটিআরসি বিনিয়োগ উৎসাহিত করছে এবং বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে চাই। কেউ যেন বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তা বিবেচনা করেই এই খাতে লাইসেন্স দেয়া হবে। বাজারের দাবি অনুযায়ী লাইসেন্স দেয়া হবে। যেখানে ২৪ হাজার টাওয়ার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে দেশে ৩৬ হাজার টাওয়ার হয়েছে। সামনে ফোর-জি প্রযুক্তি চালু হলে আরো টাওয়ার হবে। তবে এই টাওয়ারগুলো মধ্যে কোন শেয়ারিং নেই। টাওয়ার কোম্পানির জন্য বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, এই কোম্পানিগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে; টাওয়ার ব্যবসা ও টেলিযোগাযোগ সেবা আলাদা থাকবে। গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, এখানে মার্কেট ওপেন থাকা উচিত যাতে আগামীতে টাওয়ার স্থাপনে কোনো বাধা না থাকে। কারণ যেখানে টাওয়ার কোম্পানি বা অন্যরা নেটওয়ার্ক স্থাপনে যাবে না, সেখানে অপারেটরদের টাওয়ার স্থাপন করার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। রবির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহেদ আলম বলেন, মার্কেট বিবেচনা করে টাওয়ার কোম্পানির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। এখানে সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া ঠিক হবে না এবং লাইসেন্স দিলে যোগ্য ও অভিজ্ঞদের লাইসেন্স নিশ্চিত করতে হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা বলেন, অপারেটর ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করেই টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।”
বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, বাংলালিংকের সিনিয়র ডিরেক্টর অব জিআর অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান, ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন। টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদির সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রাহক স্বার্থ ভেবে টাওয়ার ব্যবসার লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত হবে -তারানা হালিম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ