পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান ধারণ করে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেন। মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছার পর এর পুরোভাগে থাকা নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর তাজা রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ, বেগবান হয় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে প্রতিবছর ১০ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়ে আসছে।
পুলিশের গুলিতে যে স্থানে নূর হোসেন শহীদ হয়েছে, সে স্থানটি এখন ‘শহীদ নূর হোসেন চত্বর’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিবছর শহীদ নূর হোসেন দিবস পালন করে। এ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিবসটি উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তাঁর বাণীতে নূর হোসেনের মতো সাহসী মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান। তিনি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নূর হোসেনসহ সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরও নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
নূর হোসেনের পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাতবুনিয়া গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের পর তার পরিবার ঢাকায় চলে আসে। তার বাবা মুজিবুর রহমান অটোরিকশা চালক। মা মরিয়ম বিবি ছিলেন গৃহিণী। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণির পর নূর হোসেনের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বাবার পথ ধরে মোটরচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। পেশাগত জীবনে নূর হোসেন ঢাকা মিনিবাস সমিতির বাসের সুপারভাইজর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। তারুণ্যে পা দিয়েই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।