সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ঋণের আওতায় নেই। তাই তাদের এ ঋণের সুবিধা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন করেছে বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ আবেদন করেছে ফেডারেশনের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম। আবেদনে তিনি সরকারের স্বল্প সুদে গৃহঋণ প্রকল্পকে সাধুবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে চিঠিতে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়, জারিকৃত পরিপত্রানুযায়ী সরকারের সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী এই ঋণের আওতাভ‚ক্ত নয়। এখানে সামরিক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রমালিকানাধীণ কোম্পানী পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা এই ঋণের আওতাভ‚ক্ত হবে না। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলোর কর্মকর্তা/কর্মচারীরা এই সুবিধা আগে থেকেই পেয়ে আসছেন। এ ছাড়াও প্রবাসীদের ফ্ল্যাট নির্মাণে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

অথচ সরকারি কর্মকর্তা দন্ড বিধির ২১ ধারায় উল্লেখিত সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী বলতে তাকে বুঝাবে- যিনি সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত বা বেতনভাগী বা কোন সরকারি কর্তব্য সম্পাদন বাবদ ফি বা কমিশনের মাধ্যমে পরিশ্রমিক গ্রহণকারী।