পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আদালতের নির্দেশনা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশকে লঙ্ঘন করে তাকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। অথচ তাঁর চিকিৎসা শুরুই হয়নি, কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, আর সেই মূহুর্তে কারাগারে নেয়া শুধু মনুষ্যত্বহীন কাজই নয়, এটি সরকারের ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার ডাক্তার ও তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আতিকুল হকের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন, ডাক্তার আতিক বেগম জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছুটির ছাড়পত্র দেননি এবং মেডিকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাক্তার জলিলুর রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে, এমতাবস্থায় সরকারের নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেগম জিয়ার ছাড়পত্র দিতে বাধ্য করতে চাপ সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে বেগম জিয়ার জীবনকে বিপন্ন করার অথবা শারীরিকভাবে চিরতরে পঙ্গু করার চক্রান্ত সরকারের কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকার। তিনি বলেন, বেগম জিয়া সুস্থ হোক, এটি বিদ্বেষপ্রবণ সরকার কখনো চায় না। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে লাগামছাড়া ক্রোধে এই অবৈধ শাসকগোষ্ঠী এখন তাঁর জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এটি শেখ হাসিনার হিংস্র আচরণেরই চরম বহি:প্রকাশ। অহংকার, উন্মত্ততা, হিংসা ও দখলকৃত ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নির্লজ্জ লড়াই চালাতেই বিচার বুদ্ধি হারিয়ে সরকার বেগম জিয়ার জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের সৌজন্যবোধ ও হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে বলেই তার ওপর অমানবিক নিপীড়ণ চালানো হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারের পাতানো পথে বিরোধী দলকে নির্বাচন করতে বাধ্য করানোর জন্যই সরকার বেগম জিয়াকে নিয়ে নিষ্ঠুর প্রতিশোধের খেলায় মেতে উঠেছে। তাঁর চিকিৎসা পাওয়ার অধিকারকেও কেড়ে নিয়েছে সরকার। রিজভী বলেন, চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি রাখতে হবে, অন্যত্থায় জনগণ আর বসে থাকবে না, বেগম খালেদা জিয়াকে বিপর্যস্ত করার যেকোন ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে এবারে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে হলেও প্রতিরোধ করবে।
প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখেননি অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে সংলাপকালে কথা দিয়েছিলেন-নতুন মামলা দেয়া হবে না, গ্রেফতার করা হবে না এবং প্রকৃত রাজবন্দীদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কোন বিশ্বাস মেলেনি। ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত তিন দিন ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের চিরুনী অভিযান চালিয়ে ছেঁকে ধরা হয়েছে। জেলা-মহানগরের সভাপতি থেকে শুরু করে সাবেক এমপি কেউই সরকারের গ্রেফতার অভিযান থেকে রেহাই পাননি। এমনকি সমাবেশে আসা ও যাওয়ার পথে হাজারের অধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, সংলাপ কি তাহলে চূড়ান্ত আক্রমণের পূর্বে কিছুটা সময়ক্ষেপণ। তা না হলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করার অঙ্গীকার করার পরও এতো তান্ডব, এতো পাইকারী গ্রেফতার ! সরকার কি তাহলে প্রতারণা ফাঁদ তৈরী করেছে? প্রধানমন্ত্রী অতিতের মতো বলেন একটা, কিন্তু কাজ করেন অন্যটা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।