পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া জেলে গিয়ে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়েছেন। দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আমি জানি, বাংলাদেশকে বন্দি রাখা যায় না। তাই খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা যাবে না। আমি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার দরকার নেই। আমাদের ভাবতে হবে, হাসিনা কবে মুক্তি পাবেন? তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার প্যারলে মুক্তির কথা। আমি বলবো, চাঁড়ালের কথার মূল্য আছে কাদেরের কথার মূল্য নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত বিশাল সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ১৯৭১-এর ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আমরা যুদ্ধে গিয়ে স্বাধীনতা এনেছিলাম। আজকে আবার বলছি, ড. কামালের নেতৃত্ব এবার গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো ইনশাঅল্লাহ।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা বিএনপি তুলে দেয়নি। আওয়ামী লীগই প্রথম জামালপুরের সরিষাবাড়ির রাজাকার নুরুর গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে। রাজাকার মহিউদ্দিনের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজাকার আশিকুর ররহমানের গাড়িতেও আওয়ামী লীগ পতাকা তুলে দিয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তারা প্রথম রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছে। এই অভিযোগ সত্য নয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বিএনপিতে যোগ দেইনি। ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছি। জিততে হলে জয় আপনাদের হাতে। হারতে চাইলেও তা আপনাদের হাতে। শেখ হাসিনা কিছু করতে পারবেন না। যদি জিততে চান নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপিকে ভুলে গিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে, মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে হিমাদ্রীর মতো সোজা হয়ে দাঁড়ান।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, সমাবেশে আসার সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের পুলিশ স্থানে স্থানে বাধা দিয়েছে। রাস্তায় গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাবতলী বন্ধ, টঙ্গি বন্ধ। সব বন্ধের পরও আমার বোনকে (শেখ হাসিনা) বলতে চাই, আপনি একটু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে এই বিশাল জনসমুদ্র দেখে যান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ৪ নভেম্বর এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছিলেন। আল্লামা শফি সাহেবের দেয়া সংবর্ধনা নিতে। আল্লামা শফি সাহেব আপনি ভুলে যেতে পারেন, আমি কাদের সিদ্দিকী ভুলে যেতে পারি না। শাপলা চত্বরে ঈমানদারের রক্ত ঝরানো হয়েছে। এই রক্তের বদলা না নিলে আমরা বেঈমানে পরিণত হবো। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।