পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান বলেছেন, সংসদ রেখে শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়। অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। এ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার ভোট চোর, মিথ্যাবাদী, ভন্ড, প্রতারক। তারা ওয়াদা খেলাপকারী। এ সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, হবে না। এ সরকার খালেদা জিয়াকে জেলের ভিতর মেরে ফেলতে চায়। গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে মান্না এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমুদ্র বার বার উদ্বেলিত হয়ে উঠে। লাখ জনতার স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় গোটা উদ্যান এলাকা। এ সময় মাহমুদুর রহমান মান্না টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন এবং প্রিণ্ট মিডিয়ার ফটো সাংবাদিকদের বলেন, এই যে লক্ষ জনতার স্লোগানের দৃশ্য আপনারা ধারণ করছেন তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিন। প্রধানমন্ত্রী দেখুন যে তাকে এদেশের মানুষ আর চায় না। তিনি দেখুন যে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লাখ জনতা জীবন দিতে প্রস্তুত।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মান্না বলেন, এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় আটকে সাজা দিয়েছেন। একটি মামলায় ৭ বছর আর অন্য মামলায় প্রথম ৫ বছর সাজা দিয়ে পরে তা বাড়িয়ে ১০ বছর সাজা দিয়েছেন। যা নজিরবিহীন। বয়স্ক এই মহিলাকে রেখেছিলেন একটা পরিত্যক্ত অন্ধকার ঘরে। তার সঠিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার হাতে ব্যথ্যা, পায়ে ব্যথা, তিনি হাঁটতে পারেনা। তার সাথে কেউ দেখা করতে পারে না। এমন একজন মহিলা ১৭ বছর সাজা খেটে কি জীবিত বের হতে পারবেন? আসলে এই সরকার জেলের ভেতর খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চায়। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে জেলের ভিতর পঁচে মরতে দেবনা। লড়াই করবো, জীবন দেবো, খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করে আনবো।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমরা ১নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসেছিলাম। সেখানে আমরা বলেছি, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, অর্থাৎ শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়। এরপর সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ নির্বাচন কমিশন পুন:র্গঠন করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। গায়েবি মামলা বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার করা বন্ধ করতে হবে। এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করেছেন তাদের মুক্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সে সংলাপে আশ্বাস দিয়েছিলেন গ্রেফতার করা হবে। তার সে আশ্বাসের কোন প্রতিফলন হয়নি। গতকাল বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের কারণ ছাড়াই নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই এ সরকারের কথায় কোন বিশ্বাস নেই। আগামীকাল (বুধবার) সরকারের সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপ হবে। সে সংলাপে মুখের কথা নয়, প্রধানমন্ত্রী লিখিত অঙ্গিকার করতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই পাঁচ বছর ধরে দেশ চালাচ্ছে বিনা ভোটের অবৈধ সরকার। এ পাঁচ বছরে সরকার ব্যাংক লুট করেছে, সোনা চুরি করেছে, পাথর, কয়লা মাটি সব চুরি করেছে। এদেশটাকে তারা তামা বানিয়ে ফেলেছে। এরা লুটেরা ভোট চোর, ভন্ড, প্রতারক মিথ্যাবাদী। ২০১৪ সালে পাঁচ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর বলেছিল এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। খুব শিগগিরই সকলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন দেয়া হবে। এরপর পাঁচ বছরে আর কোন খবর নেই। ওয়াদা করে এ সরকার ওয়াদা রাখেনি। তাই এদের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পুলিশ ভাইদের বলছি আপনাদেরকে উপরের নির্দেশ মানতে হয়। এখন থেকে সরকারের অন্যায় নির্দেশ আর মানবেন না। তাদের নির্দেশ মানার আর দরকার নেই। জনগণ জেগে গেছে, জনগণের দাবির বিরুদ্ধে, জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে গেলে এর পরিণতি ভাল হয়না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।