পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সরকারের চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাবে তাদের পদত্যাগপত্র। সেখান থেকে আবার যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের পর টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে যাবে। এর পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকার গঠন ও রাষ্ট্রাচার অধিশাখা থেকে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আজ বিকালে না হলে রাতের যে কোন সময় চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি প্রথম পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া বাকি তিনজনও গতকাল রাতেই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম কোনো নির্দেশনা পাননি। মোহাম্মদ শফিউল বলেন, টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ সম্পর্কে কোনও কাগজপত্র আমি এখনও পাইনি। তবে কাগজ পাওয়া মাত্রই দ্রুত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবো। বঙ্গভবন থেকে সেগুলো অনুমোদন পেয়ে আসলেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভার এই চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি। তারা নির্বাচিত সংসদ সদস্য নন এবং সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদে স্থান পেয়েছিলেন।
জানা গেছে, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এই সরকারের শুরু থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বে গঠিত মহাজোট সরকারে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন তিনি।
ইয়াফেস ওসমান ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি ৩ জানুয়ারি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
এদিকে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তুত আছে। তবে এবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় কতটা পরিবর্তন আসতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি। গতকাল মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভা সঙ্কুচিত করা হবে কি না- এখন পর্যন্ত আমি সেটা জানি না। আমাকে অবহিত করা হয়নি, জানলে আপনাদের জানাব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি তাকে অফিসিয়ালি জানানো হয়নি।
অফিসিয়াল নির্দেশনা পেলে এবং টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে- সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খুব বেশি সময় লাগে না। আমরা সামারি করে পাঠিয়ে দেব, মাহামান্য প্রেসিডেন্ট হয়ে চলে আসবে। মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের বিষয়ে আরেক প্রশ্নে শফিউল বলেন, আমরা রেডি এগুলোর ব্যাপারে। চলতি বছর জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদলের পর এতদিন ৩৩ জন মন্ত্রী, একজন বিশেষ দুত, ৫জন উপদেষ্টা এবং ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুইজন উপমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।