পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে মারিজুয়ানার অ-মাদক উপাদান ক্যানাবিডিয়ল (সিবিডি) মস্তিষ্ক ও নার্ভাস সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে। এতে আগে যা মনে করা হত তার চেয়ে এ যুক্তি শক্তিশালী হয়েছে যে সিবিডির মাঝারি ডোজ বহু রোগীর ব্যথা ও উদ্বেগ নিরসনে নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।
চিকিৎসায় সিবিডির ব্যবহার সম্ভাবনা বিষয়ে উৎসাহ অব্যাহত থাকার মধ্যে গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ওষুধ হিসেবে এর কার্যকারিতার কৌশল এখনো ক্ষীণ। অধিকাংশ প্রচেষ্টাতেই সিবিআই ক্যানাবিনয়েড গ্রাহকের উৎস এন্ডোক্যানাবিনয়েড ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে যা মারিজূয়ানার সাইকোঅ্যাক্টিভ কমপাউন্ড টেট্রাহাইড্রোক্যান্নাবিনলের (টিএইচসি) সাথে বন্ধনযুক্ত। এর ফলে ওষুধ হয়েছে স্বস্তিদায়ক।
কিন্তু সর্বশেষ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে সিবিডি বিভিন্ন গ্রাহকের উপর স্বস্তি ছাড়াই ব্যথা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তিদাতার কাজ করছে। বিশেষ করে এ গবেষণায় সেরোটোনিনের (৫ এইচটি) সাথে গ্রাহকদের মিথস্ক্রিয়ার উল্লেখ করেছে যা উদ্বেগ ব্যবস্থাপনা ও ভ্যানিলয়েড (টিআরপিভি) গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
গবেষণার লেখক ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াক্রির প্রফেসর ড. গ্যাব্রিয়েলা গোবি বলেন, আমাদের গবেষণা সিবিডির কর্মকৌশল ব্যাখ্যা করে ও দেখায় যে এটা টিএইচসির মারাত্মক পাশর্^প্রতিক্রিয়া ছাড়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরেকটি ক্ষেত্র যা এখন পর্যন্ত সিবিডি গবেষণায় এখন পর্যন্ত ভাসা ভাসা রকম রয়েছে তা হচ্ছে ওষুধের কার্যকর পরিমাপ। সর্বশেষ গবেষণায় এ বিষয়টিও প্রকাশিত হয়েছে যে ফল পাওয়ার জন্য এক সপ্তাহের মেয়াদে মাঝারি পরিমাণ ও শরীরের ওজন ভিত্তিতে ওষুধ প্রদানই যথেষ্ট।
গবেষণার প্রথম লেখক ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো ড্যানিলো ডি গ্রেগোরিও বলেন, আমরা ক্রনিক ব্যথায় প্রাণি মডেলের ক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছি যে ৭ দিনের জন্য স্বল্পমাত্রায় সিবিডি প্রয়োগ নিউরোপ্যাথিক অথবা ক্রনিক ব্যথার দুটির সচরাচর লক্ষণ ব্যাথা ও উদ্বেগ উভয়ই দূর করে।
এ গবেষণা যেহেতু ইঁদুর সংশ্লিষ্ট তাই মানব-শরীরে সমমাপের ওষুধের পরিমাপ স্পষ্ট নয়, তবে গবেষণার ফলাফল আমাদেরকে উত্তরের একধাপ কাছে নিয়ে আসে।
আরো গুরুত্বপূর্ণ যে এ ফলাফল সিবিডি কিভাবে এ প্রক্রিয়ার এন্ডোক্যানাবিয়ড ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে তার সুপরিচিত অংশীদার টিএইচসির চেয়ে সম্পূর্ণ পৃথক পন্থায় নিউরনের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে তা বুঝার নিকটবর্তী করে। এবং এই ফলাফল যদি মানুষের মধ্যে পুনরাবৃত্ত হয় তাহলে আমরা অ-আসক্তি ব্যথা ও উদ্বেগ মুক্তির জন্য সিবিডির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর কাছাকাছি উপনীত হব, রোগীদের উচ্চমাত্রার আসক্তিকর আফিম এবং বেনজোডায়াজেপাইন উদ্বেগ নিরসন ওষুধ প্রদান হবে আরেকটি ব্যবস্থা।
কিন্তু গবেষণা ছাড়া এসবের কোনোটিই সম্ভব নয় যদিও সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত তা হিমাগারে রয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন ঘটছে যার প্রমাণ মেলে এ বছরের গোড়ার দিকে গুরুতর মৃগী রোগের চিকিৎসার জন্য সিবিডির উপাদানে তৈরি প্রথম ওষুধ মার্কিন এফডিএ কর্তৃক অনুমোদনের ঘটনায়। একদিকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আওতায় ক্যানাবিস থেকে জাত সিবিডি এখনো শিডিউল ১ নিয়ন্ত্রিত উপাদান, অন্যদিকে গাঁজা থেকে উদ্ভ‚ত সিবিডিও ব্যাপক ভাবে সুলভ (যদিও এর আইনগত বৈধতা অস্পষ্ট)।
সর্বশেষ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে কুইবেকে। কানাডার ক্যানাবিস আইন পাশ করার প্রেক্ষিতে সিবিডি সেখানে বৈধতা পেয়েছে। এ আইনে দেশব্যাপী বিনোদন মূলক ক্যানাবিস ব্যবহার আইনসম্মত। গবেষণাটি ‘পেইন’ জার্নালে প্রকাশিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।