পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হিজাব পরায় ঢাবির এক ছাত্রীকে মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক আজিজুর রহমান ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইসলামী ফরজ বিধানের উপর হস্তক্ষেপ করে কুলাংগার এ শিক্ষক দেশের মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। তাকে দ্রুত কঠিন শাস্তি না দিলে ইসলামী জনতা গর্জে উঠবে।
খেলাফত মজলিস
হিজাব পরিধানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে হিজাব পরিধানের কারণে ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়ে শিক্ষক আজিজুর রহমান শুধু ঐ ছাত্রীর অধিকারই লঙ্ঘন করেনি বরং ইসলামের একটি ফরজ বিধান হিজাবকে কটাক্ষ করেছে। তার এ ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এর পূর্বেও তিনি হিজাবের বিরুদ্ধে একই ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে শিক্ষক নামের কুলাঙ্গার আজিজুর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তা না হলে দেশের তাওহিদী জনতা গর্জে উঠবে।
ইসলামী ছাত্র মজলিস
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, ইসলামী সংস্কৃতি, তাহযীব-তামাদ্দুন আজ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের দেশ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুসলমান শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় পোশাকের ব্যাপারে হেনস্থা করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আজিজুর রহমান তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে যে দৃষ্টতা দেখিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ইতিপূর্বেও এ অধ্যাপক এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদে স্বপদে বহাল থাকার কারণে বারবার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। হিজাব মুসলমান নারীদের সম্মানের প্রতীক। কারো যদি সহ্য না হয় তাহলে সে অন্য দেশে গিয়ে বসবাস করতে পারে। ৯২% মুসলমানের দেশে তা সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে অধ্যাপক আজিজুর রহমানকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায়, ছাত্রজনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
গতকাল বিকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের জরুরি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুফতি নূর মুহাম্মদ আজিজী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এস এম আল জুবায়ের, ইয়াসিন আরাফাত মিতুল, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক বি এম আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।