পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বাড়িতে একা একা তো বহু মানুষই থাকেন। কাজের ক্ষেত্রে অনেককেই বাড়িতে একা থাকতে হয়। কিংবা অনেক কারণেই অনেক মানুষ বাড়িতে দিনের পর দিন একা থাকেন। কিন্তু তাই বলে একটা গোটা গ্রামে একা থাকা কেমন করে সম্ভব? এই অসাধ্যই সাধন করেছেন এক ব্যক্তি। টানা ১০ বছর একটা গ্রামে একা কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি! চীনের জুয়েনসানসে গ্রামের জনসংখ্যা ১ জন। গত ১০ বছর ধরে লিউ সেনজিয়া নামের এই ব্যক্তি একাই রয়েছেন ওই গ্রামে। ১০ বছর আগে এই গ্রামের ছবিটা কিন্তু এমন ছিল না। তখন ওই গ্রামে অনেক মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ ঘাটতি হওয়ার কারণে ক্রমশ গ্রাম ছেড়ে সবাই চলে যেতে থাকে। বয়স্ক যারা যেতে পারেননি, তারা মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৬ সাল থেকে শয্যাশায়ী মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে একা গ্রামে থাকতে শুরু করেন লিউ। এক বছরের মধ্যে তার মা এবং ভাইও মারা যান। তখন থেকে গ্রামে একেবারে একা বসবাস করে আসছেন তিনি।
এত বছর ধরে একা থাকতে থাকতে একাকীত্বই লিউয়ের সঙ্গী হয়ে গেছে। তিনি শিখে গিয়েছেন কীভাবে একা বেঁচে থাকতে হয়। ভেড়া প্রতিপালন করা শুরু করেন। কীভাবে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন, আর কীভাবেই বা বেঁচে রয়েছেন, সেই বিষয় লিউ জানিয়েছেন যে, প্রথম প্রথম গোটা গ্রামে একা থাকতে তার খুবই কষ্ট হত। অনেকদিন তিনি ঘুমোতে পারেননি। রাতে যখন হিংস্র কুকুরের ডাক শুনতেন, ভয়ে তিনি দু’চোখের পাতা এক করতে পারতেন না। সঙ্গী হিসেবে ভেড়া প্রতিপালন শুরু করেন। ওই ভেড়াগুলো ছাড়া তার আর কোনও সঙ্গী নেই। এভাবেই দিনের পর দিন একা থাকতে থাকতে ক্রমশ এই পরিস্থিতির সঙ্গেই একাত্ম হয়ে গিয়েছেন।
স্থানীয় বনবিভাগে বন পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন লিউ। সারা মাস কাজ করে মাত্র ১০৭ ডলার রোজগার করেন তিনি। খাবার এবং পানি সংগ্রহের জন্য তাকে অনেক দূরে যেতে হয়। কিন্তু কীভাবে এত কষ্ট করে বেঁচে রয়েছেন তিনি? তার কি ওই গ্রাম ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না? এই প্রশ্ন করায় লিউ জানালেন, কষ্টকর ওই পরিবেশে তার থাকতে কোনও অসুবিধা হয় না। তিনিও মাঝে মাঝে চান গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু এত বছর গ্রামে থাকার পর গ্রামের প্রতি তার একটা ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে। তাইইচ্ছা থাকলেও গ্রাম ছেড়ে তার আর যাওয়া হয় না। সূত্র : জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।