Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে পাস-পারমিট বন্ধ তিন দিনেও আগুন নেভেনি

প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা ও শরণখোলা সংবাদদাতা : সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের পঁচিশ নাম্বার কম্পার্টমেন্টের তুলাতলা এলাকায় লাগা আগুন তৃতীয় দিনেও নেভাতে পারেনি বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস। ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় এবং পানির সুব্যবস্থা না থাকায় সবাইকে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই আগুন পুরোপুরি কখন নেভানো যাবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। তবে বনবিভাগ সুন্দরবনে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে বলে দাবি করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।
এদিকে সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণে গতকাল সকাল থেকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগজুড়ে জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালদের পাস-পারমিট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বনবিভাগ। তবে বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার শুধু চাঁদপাই রেঞ্জে সকল ধরনের পাস-পারমিট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। সুন্দরবনের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত জেলে বাওয়ালী, মৌয়াল ও সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, দফায় দফায় সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের দুটি রেঞ্জে শরণখোলা এবং চাঁদপাইয়ে সব ধরনের পাস-পারমিট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। সুন্দরবনের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত জেলে বাওয়ালী, মৌয়াল ও সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে যারা পাস-পারমিট নিয়ে যারা সুন্দরবনে অবস্থান করছে তাদের দ্রুত সুন্দরবন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে এবারে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনের ধরনটা একটু ভিন্ন। এই দুর্বৃত্তরা তুলাতলা এলাকার কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ২০টি স্থানে আগুন দিয়েছে, যা আমাদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। যার কারণে আগুন নিভাতে সময় লেগেছে। এখন কোথাও ধোঁয়া বা আগুনের কু-লী নেই। তবে এখনই ফায়ার সার্ভিসকে সুন্দরবন থেকে সরিয়ে নেয়া হবে না। তারা বনবিভাগের সঙ্গে আগুন লাগার এলাকায় থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। তবে তারা কয়দিন থাকবে তা তিনি বলতে পারছেন না।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলের দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দমকল কর্মীরা প্রখর তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এজন্য খুলনা ফায়ার সার্ভিস থেকে ১২ জনের একটি দল শুক্রবার সকালে সুন্দরবনে এসে কাজে যোগ দিয়েছে। তাছাড়া তীব্র বাতাসের কারণে আগুন নেভানোর কাজ বিঘিœত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় এখনো ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছি। যেখানে আমরা ধোঁয়া দেখছি সেখানেই পানি ছেটাচ্ছি। পুরোপুরি আগুন কখন নিভাতে পারব তা বলতে পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে পাস-পারমিট বন্ধ তিন দিনেও আগুন নেভেনি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ