পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে আগামী ৮ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার। এদিন বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। এদিকে অধ্যাদেশ জারির চার দিনের মাথায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে তা গেজেট আকারে জারি করবে ইসি সচিবালয়।
গতকাল রোববার কমিশন বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ( অব:) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামী ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের মধ্যদিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।
ঐক্যফ্রন্টের তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আজকেই আমাদের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ৮ তারিখ তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা ৪ তারিখের পরিবর্তে ৮ তারিখে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খালেদা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এড়িয়ে যান তিনি। সংসদ নির্বাচনে কত সংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কত সংখ্যক আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সীমিত আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শাহাদৎ হোসেন বলেন, ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা ও ভোটারদের শিক্ষার ব্যাপার আছে, আমরা ইভিএম ব্যবহার শহর কেন্দ্রিকই করব। ইভিএম বিধিমালায় পদ্ধতিগত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। তফসিল থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিন সময় থাকবে। তিনি বলেন, একটি স্ট্যান্ডার্ড সময় থাকবে। তফসিল থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিনের কাছাকাছিই থাকবে। বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রসঙ্গে আদালতের নির্দেশনা নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, তফসিলের আগে এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করব কি-না সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যেহেতু সেটি প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই শিগগিরই আমরা সেটি করব। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইভিএম বিধিমালা জারির মাধ্যমে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের বিধি সংশোধন চূড়ান্ত হচ্ছে। ইভিএম বিধিমালা পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যবহারের সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত হলো। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালুর ৮ বছর পর প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ২০১০ সালের জুন মাসে স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ইভিএম চালু হয়। ২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজিটালাইজড সুবিধা সংবলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে তা চালু হয়। এর দু’বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম বিধিমালা ২০১৮’এ রিটার্নিং অফিসার,প্রিসাইডিং অফিসার, ভোট গণনা, ফল একীকরণসহ নানা বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, আইনি ভিত্তি পাওয়ার পর স্বল্প পরিসরে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। কয়টি কেন্দ্রে তা ব্যবহার করা হবে তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে। দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসব কেন্দ্র বাছাই করা হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি। স্থানীয় নির্বাচনে এ ইভিএম ব্যবহার হয়েছে রংপুর, খুলনা, গাজীপুর ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে। আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার শনাক্ত করা হয়। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন করে ভোটার ভেরিফিকেশন করেন পোলিং অফিসার। ডেটা বেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্টের মাধ্যমে তা পোলিং এজেন্টের কাছে দৃশ্যমান হবে।
২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজিটাইজড সুবিধা সম্বলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে তা চালু হয়। এর দু’বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম বিধিমালা ২০১৮ এ রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোট গণনা, ফল একীকরণসহ নানা বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, আইনি ভিত্তি পাওয়ার পর স্বল্প পরিসরে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। কয়টি কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে। এ সপ্তাহের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনর তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। সিইসির জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ভোটের তারিখ ও ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত থাকবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।