পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণকারী আফরিন হক সৃষ্টির (১১) চিকিৎসায় কোন ত্রুটি ছিল না। তার চিকিৎসায় আধুনিক এবং অগ্রিম সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়। একজন রোগীর মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু ডেঙ্গু সক সিন্ড্রোমের কারণে সব চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
গতকাল রোববার রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হাসপালাতটির চেয়ারম্যান প্রখ্যাত সার্জন প্রফেসর ডা. মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল আস্থার ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। গত পাঁচ মাসে এ হাসপাতালে শিশুসহ মোট এক হাজার ৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে ৫শ’ ৪২ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ এবং ৫০২ জন শিশু। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পরও চিকিৎসাধীন সহস্রাধিক রোগীর মধ্যে গত পাঁচ মাসে তিনজনে মৃত্যু হয়। অনাকাঙ্খিত এই মৃত্যুর দায় চিকিৎসকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া কাম্য নয়।
ডা. মতিউর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সুচিকিৎসায় আস্থা অর্জন করলেও মাঝে মাঝে অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর দায় চিকিৎসকের ওপর চাপিয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করার ঘটনায় আতঙ্ক তেরি হয়েছ। এমনটা চলতে থাকলে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করাতে চিকিৎসকরা ভয় পাবেন। সেক্ষেত্রে রোগীদের সুচিকিৎসা ব্যাহত হবে।
শিশু আফরিনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সবিস্তারে ব্যাখ্যা ও হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা করে।
হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ইনচার্জ ডা. এন কে ভৌমিক জানান, গত ২৫ অক্টোবর ধানমন্ডি নিবেদিতা মেডিকেল সেন্টার থেকে আফরিন হক সৃষ্টি নামের শিশুটি রেফার হয়ে ৫১৬ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার রক্তের প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। দ্রুততম সময়ে তার লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে। আফরিনকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও অনাকাঙ্খিতভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা সময় সময় তার স্বজনদের জানানো হয় এবং তারা বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তার মৃতুদেহ নিয়ে যাওয়ার পর কয়েকজন এসে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন।
পেডিয়েট্রিক ইউনিটের ডা. সুজিত কুমার রায় বলেন, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের অনেকেরই আকস্মিভাবে রক্তে প্লাটিলেট আশঙ্কাজনকহারে কমে গিয়ে হার্ট, কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল (মাল্টিঅর্গান ফেইলিউর) হয়ে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করতে চাইছে না। কিন্তু সেন্ট্রাল হাসপাতাল অসংখ্য ডেঙ্গু আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে সুচিকিৎসা প্রদান করে সুস্থ করে তুলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।