পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন দেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ (৭ ফুট ৬ ইঞ্চি) জিন্নাত আলীকে সুস্থ করতে তার মস্তিষ্কে সার্জারি করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্জারি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে তাকে সুস্থ করা সম্ভব নয়। রোগী এবং তার স্বজনরা চাইলে আগামী সপ্তাহেই তার সার্জারী সম্পন্ন করা হবে। এ ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব। বিদেশে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
গতকাল রোববার বিএসএমএমইউ মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার, ট্রেজারার ডা. মো. আতিকুর রহমান, নিউরো সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ টি এম মোশারফ হোসেন, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ফরিদ উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৫ অক্টোবর জিন্নাত আলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধীনে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার মস্তিষ্কে পিটিওটারি গ্রন্থিতে একটি টিউমারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই টিউমার থেকে অতিরিক্ত হরমন নি:সরনের ফলে তার শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষায় তার শরীরে ডায়াবেটিস, ডিসলিপিডিমিয়া, অষ্টিওআথ্রাইটিস এবং সেলুলেটিস অব রাইট লেগ সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমানে তার টিউমারটি বেশ বড় আকার ধারণ করেছে। এজন্য তার মস্তিষ্কে একটি সার্জারী করতে হবে। এক্ষেত্রে আধুনিক মাইক্রো সার্জারী পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, পিটিওটারি গ্রন্থি থেকে অধিক পরিমান গ্রোথ হরমন নি:সরিত হলে ২২ বছর পর্যন্ত শরীরে লম্বা হতে থাকে। কিন্তু তারপরে শরীরে আর লম্বা না হলে চামড়া, হাত পায়ের আঙ্গুল মোটা হতে থাকে। এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, রোগী জিন্নাত আলী সার্জারী করতে ভয় পাচ্ছে। সে রাজি হলে আগামী সপ্তাহেই সার্জারী করা সম্ভব। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী জটিল সার্জারী। অপারেশনের পরেও কখনো কখনো আবার টিউমান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি দেয়া হয়। তিনি বলেন, জিন্নাতের চিকিৎসা সম্পূর্ন বিনামূল্যে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকার পরীক্ষা করা হয়েছে।
সার্জারির কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানতে চাইলে ভিসি বলেন, সার্জারি চলাকালীন সময়ে বা পরে বিভিন্ন হরমনের অধিক নি:সরন হতে পারে। যা বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে অনেক বেশি প্রসাব হতে পারে, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স হতে পারে, এমনকি শরীরের অভ্যন্তরে পানি ও রক্তক্ষরণ হতে পারে। তিনি জানান, ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম এ ধরনের সার্জারী করা হয়। এর আগে পরিমল নামে একজন একই ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।