পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৯প্রকল্প। একনেকের এক বৈঠকে এটাই সর্বোচ্চ প্রকল্প অনুমোদনের রেকর্ড। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৬৬ হাজার ৪৬৬কোটি ৫১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩১৩ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক প্রকল্প সাহায্য ১৯ হাজার ৯০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
গত মঙ্গলবার একনেক অনুমোদন দিয়েছে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্প। চার’দিন পরই আজ রোববার(৪ নভেম্বর) একনেকে উঠেছে আরও ৪০টি উন্নয়ন প্রকল্প।
রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকের বিভিন্ন তথ্য জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, উন্নয়নে সাধারণত বেসরকারি বিনিয়োগ কারীরা বিনিয়োগ করেন না। এ সময় সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। তাছাড়া আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে এমন পথ তৈরি করতে চাই, যাতে বেসরকারি বিনিয়োগ কারীরাও এই পথেই হাঁটতে পারেন। পরিবেশ তৈরি ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দেয়া হবে। উন্নয়নের গতি থামানো যাবে না।নির্বাচন চলবে, আবার উন্নয়নও হবে। কোনোটির জন্য কোনোটি স্থগিত করা ঠিক নয়। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতেই ঘন ঘন একনেক বৈঠক এবং বেশী বেশীপ্রকল্প অনুমোদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে নির্বাচনের দিন ছুটিও ঘোষণা করা হয়না। সবাই ভোট দিয়ে অফিসে চলে যান। সেখানেতো কোনো সমস্যা হয় না।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, পল্লী অবকাঠামো, দারিদ্র্য বিমোচন এবং গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বেশ কিছু প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, বৃহত্তর ঢাকার পল্লীঅবকাঠামো উন্নয়নে আলাদা আলাদা প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার ক্ষতিগ্রস্তপল্লী সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, গ্রামীণ সড়কে১৫ মিটার
দৈর্ঘ্য সেতু কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করতে হেরিংবোন এবং গ্রাম সড়ক উন্নয়নের প্রকল্পগুলোও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।কুমিল্লা জেলার পাঁচটি পৌরসভা, ফরিদপুর শহরেরটেপাখোলা লেক উন্নয়ন, টাঙ্গাইল জেলার অবকাঠামো উন্নয়ন, সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালস্থাপন, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের নতুন প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে আজকের একনেকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান, ঢাকায়কর্মরত পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসিকভবন নির্মাণ এবং অভিযানে সক্ষমতা বাড়াতেযানবাহন ক্রয়সহ মোট পাঁচ প্রকল্প উঠছে। এছাড়া র্যাবের প্রযুক্তি ও কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে ওঠানো হচ্ছে আরেকটি প্রকল্প। বাংলাদেশ পুলিশের অভিযানের সক্ষমতা বাড়াতে ৯৯৪টি যানবাহন কেনার প্রস্তাব দিয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ। এসব গাড়ি ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পুলিশের ৫০ হাজার জনবল বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে।এ অবস্থায় পুলিশের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির অন্যতমবাধা যানবাহনের এই ঘাটতি অতিদ্রুত পূরণ করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২০সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের আবাসিক সংকট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় নয়টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ প্রকল্পও একনেকে ওঠানো হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭৫ কোটি ৫৬লাখ টাকা। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বর্তমানে ৩৩হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য কর্মরত আছেন। কিন্তু ঢাকায় কর্মরত এ বিশাল পুলিশ বাহিনীর জন্য চাহিদার তুলনায় আবাসন সুবিধা অপ্রতুল। এ কারণে প্রকল্পের আওতায় নয়টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ২০ তলা ভবন নির্মাণ হবে চারটি, একটি ১৫ তলাও দুটি ২০ তলা। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকার গুলশানে আবাসিক ভবন নির্মাণে ১১৯ কোটি টাকার আরও একটি প্রকল্পও একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য নির্মাণ করাহবে ১৬ তলা ভিতে ১৪ তলা আবাসিক ভবন। এসব ভবনে মোট ফ্ল্যাটের সংখ্যা হবে ৫২টি। বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণে ৩৫৪ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রস্তাবও একনেকে পাস হয়। অন্যদিকে, হাইওয়েপুলিশের সক্ষমতা বাড়াতেও একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।