পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। দেশে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তখন ১৪ দল শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি যখন স্থিতিশীল হচ্ছে, বাংলাদেশ যখন জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মহল চক্রান্ত শুরু করেছে। ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যার উদ্দেশ্য একটাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারকে বিব্রত ও বিপর্যস্ত করা। এই সরকারকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা নৈরাজ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারাই গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার বন্ধ করতে চায়। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেও এ বিচার বন্ধ করা যায়নি। এই বিচার হচ্ছে, হবে। অতীতে যেমন ১৪ দল সকল চক্রান্ত মোকাবেলা করেছে; আজকেও তেমনি বিএনপি-জামায়াত জোটের যে কোন চক্রান্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়েই মোকাবেলা করা হবে।
হত্যাকা-ের ঘটনায় ১৪ দল উদ্বিগ্ন জানিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়কারী নাসিম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে। আমাদের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ ধরনের ঘটনা মোকাবেলা করতে হবে।
বৈঠক শেষে ১৪ দলের দপ্তর বিষয়ক সমন্বয়কারী মৃণাল কান্তি দাস জানান, রাজধানীর কলাবাগানের জোড়া খুনের ঘটনায় আগামী ৮ মে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হত্যার ঘটনায় রাজশাহী মহানগরে ১৪ মে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে। ১৪ দলের শুক্রবারের বৈঠকে এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ১৪ দলের বৈঠকে দেশে বিদ্যমান সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে সময়পোযোগী আখ্যায়িত করা হয়। একই সঙ্গে গণপরিবহনের ভাড়া কমানোর জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ, ফরিদুর নাহার লাইলী, ফজিলতুননেসা ইন্দিরা, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস, সুজিত রায় নন্দি; সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, এসএ গনি, জাসদ (একাংশের) সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, মো. মোহসীন, জাসদ (একাংশের) শিরিন আক্তার, হাবিবুর রহমান, নাদের চৌধুরী, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার, কাজী আলিউল ইসলাম, ন্যাপের শফিক আহমেদ খান, জেপির এএইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ, এজাজ আহাম্মদ মুক্তা, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল আহসান, ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, নূরুর রহমান সেলিম, জেপির আবুল খায়ের প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।