গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর জিগাতলায় জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে আশুলিয়ায় থানায় মামলাটি (নং-৪) করেন। এ নিয়ে জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে এখন পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় ৬টি মামলা হল।
এ ছাড়া এ মামলায় আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন,
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও আবদুস সালাম। অজ্ঞাতনামা আরও একজন।
বৃহস্পতিবার রাতে লেজার মেডিকেলের লিগ্যাল এক্সিকিউটিভের মামলায় উল্লেখ করা হয়, জাহানার ফেরদৌনের বাবা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ১৯৬৩ সালের সিএস ও এসএ মালিকানাধীনদের কাছ থেকে ২.১৭ একর জমি ক্রয় করেছেন। এ জমি ডা. জাফরুল্লাহসহ ১৭ জন বেদখল দিলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ১৯৮১ সালে ইঞ্জেকশন জারি করা হয়।
তারপরও তারা জমিতে স্থাপনা তৈরি করেছেন। এতে বাধা দিলে ডা. জাফরুল্লাহ গং তাদের কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি রেজাউল হক দীপু জানান, ডা. জাফরুল্লাহ গংদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় জমি দখল, মাছ চুরির ঘটনায় ৬টি মামলাসহ অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন অব্যহত রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে মোহাম্মদ আলী নামে একজন বাদী হয়ে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন (৫৭),
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) এবং আশুলিয়ার টাকশুর এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে আওলাদ হোসেনসহ (৪৮) অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করে। একই ঘটনা উল্লেখ করে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় হাসান ইমাম নামের এক ব্যক্তি ডা. জাফরুল্লাহসহ চারজনের বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদা বাজির মামলা করেছেন।
২১ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেতে না পেতেই ডেন্ডাবরের সৈয়দ সেলিম আহম্মেদ তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেন।